শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মাদ্রাসার জমি নিয়ে সভাপতি-সম্পাদকের মধ্যে বিরোধের জের ধরে হামলায় উভয় পক্ষের ৩৮ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় এদের মধ্যে ১০ জনকে ময়মনসিংহ ও শেরপুর সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গোল্লার পার মদিনাতুল উলুম কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানার ২৫ শতাংশ জমি নিয়ে সভাপতি ওসমান গণি ও সম্পাদক হাফেজ আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে সভাপতি ওসমান গণির লোকজন গত কয়েকদিন আগে ওই জমিতে হাল দেয় আবাদের জন্য। আবার গতকাল সেই জমিতে হাফেজ আলীর লোকজন ধান আবাদ করলে দ্বন্দ্ব বাধে।
এ ঘটনায় শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে ওসমান গণির লোকজন হাফেজ আলীর লোকজনদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় ওসমানের লোকজন বেশকটি বাড়ি, দোকান, অটোরিকশা ভাঙচুর করে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলে প্রায় ৩৮ জন গুরুতর আহত হন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) দিদারুল ইসলাম বলেন, আমরা ৮ জনকে আটক করেছি। এ ব্যাপারে আমরা এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মন্তব্য করুন