ভোলার মেঘনা নদীতে মালবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ বাবা-ছেলের এখনো সন্ধান মেলেনি। তাদের উদ্ধারে চলছে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান। এতে অংশ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল। তবে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উদ্ধার অভিযান।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে সকালে অভিযান শুরু করা যায়নি। পরে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি টিম। নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।
ইলিশা নৌ থানার ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ কুমার বড়ুয়া কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাবা-ছেলে এবং নিখোঁজ ট্রলারের সন্ধানে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি টিম দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযানে নেমেছে।
ভোলা কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সালাউদ্দিন জানান, মেঘনায় তীব্র স্রোত থাকার কারণে উদ্ধারকারী টিম ডুবে যাওয়া ট্রলারের অবস্থান শনাক্ত করতে পারছে না। মেঘনার স্রোত ও গভীরতাও বেশি তাই ট্রলারটির অবস্থান শনাক্ত করতে সময় লাগছে। তবে রাতে বেসরকারি একজন ডুবুরির মাধ্যমে ট্রলারের অবস্থান শনাক্ত করেছে বলে আমাদেরকে জানানো হয়েছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে মনপুরা থেকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রলারটি ইলিশার জোরখাল পয়েন্টে প্রবল স্রোতের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ওই ট্রলারটিতে সাতজন শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন শ্রমিক জেলে ট্রলারের সহায়তায় তীরে উঠে আসতে পারলেও আব্দুল রাজ্জাক (৬২) ও তার ছেলে পারভেজ সরদার নিখোঁজ হন। তারা ইঞ্জিনরুমে থাকায় বেরোতে পারেননি বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রলারে থাকা সাত শ্রমিক বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর সোমবার সকাল থেকে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর যৌথ ডুবুরি টিম উদ্ধার অভিযানে নামে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা উদ্ধার অভিযান চালায়। এরপর আজ সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
এদিকে নিখোঁজ আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ সরদারের নিখোঁজ হওয়ার খবরে স্বজনরা জোরখাল ঘটনাস্থলে এসেছে। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে ঘটনাস্থল।
মন্তব্য করুন