ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মেঘনায় ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার, নিখোঁজ এখনো ২

ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করে পাড়ে নেওয়া হচ্ছে। ছবি : কালবেলা
ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করে পাড়ে নেওয়া হচ্ছে। ছবি : কালবেলা

ভোলার মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া মালবাহী ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পাওয়া যায়নি ট্রলারে থাকা বাবা-ছেলেকে। ট্রলারটি মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ডুবুরি সদস্যরা ট্রলারটিকে বিশেষ কায়দায় ভাসিয়ে টেনে জোরখাল নামক জায়গায় নিয়ে যায়। ট্রলারটিতে বেশকিছু মালামাল থাকলেও নিখোঁজ আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ সরদারের কোনো দেহ ট্রলারটিতে পাওয়া যায়নি।

ভোলা বিআইডব্লিউটিএর নদীবন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, মেঘনায় বাবা-ছেলেকে নিয়ে ডুবে যাওয়া মালবাহী ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারের মধ্যে বেশকিছু মালামাল থাকলেও নিখোঁজ আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলের কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। ট্রলার মালিককে ট্রলারটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছি। ট্রলারটির ইঞ্জিনরুম কেবিন সিস্টেম নয়। যার কারণে মরদেহ ট্রলারে পাওয়া যায়নি। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযান দেরি হয়েছে।

সোমবার রাত ৯টার দিকে চাঁদপুরের বেসরকারি একটি ডুবুরি টিম ও বিআইডব্লিউটিএ এর কয়েকজন ডুবুরি ট্রলারটির অবস্থান নিশ্চিত করে একটি রশি দিয়ে চিহ্নিত করে। মঙ্গলবার সাড়ে ১১টার দিকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযানে নেমে চিহ্নিত স্থান থেকে ট্রলারটিতে রশি বেঁধে টেনে জোরখাল নামক জায়গায় নিয়ে আসা হয়।

ঘটনাস্থলে ইলিশা নৌ-পুলিশ, তদন্ত কেন্দ্রের টিম, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।

রোববার (২১ জানুয়ারি) মধ্যরাতে মনপুরা থেকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। মালবাহী ট্রলারটি ইলিশার রাজাপুরের জোরখাল পয়েন্টে প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ভাঙারি মালামালসহ সাতজন শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্য পাঁচজন শ্রমিক জেলেদের সহায়তায় তীরে উঠতে সক্ষম হলেও ট্রলারে থাকা বাবা আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ সরদার নিখোঁজ হন। তারা ইঞ্জিনরুমে থাকায় বের হতে পারেননি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্রলারে থাকা সাত শ্রমিক বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ট্রলারটির মালিক ছিলেন ফারুক মাঝি। ফারুক মাঝি ভাঙারি মালামালের ব্যবসা করেন। তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে নদীপথে ট্রলারের মাধ্যমে মালামাল পরিবহন করেন।

ঘটনার পর সোমবার সকাল থেকে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ’র যৌথ ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালায়। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করেন তারা।

এদিকে নিখোঁজ আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ সরদারের নিখোঁজ হওয়ার খবরে স্বজনরা ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে জামায়াতের অংশগ্রহণ

‘ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াও আমাদের দিনে দাঁড়াতে পারবে না’ 

রিপন মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি

ঢাবি সাদা দলের বিবৃতি / এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ অপ্রত্যাশিত

৪৮ জেলার ৪৩৫ স্পটে হত্যাকাণ্ড ঘটায় পুলিশ-যুবলীগ : তাজুল ইসলাম

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল জামায়াত নেতার

ইয়ামালের জন্য আল হিলালের ৫২৬০ কোটি টাকার প্রস্তাব!

অতিরিক্ত সিম স্বেচ্ছায় বাতিল না করলে যা করবে বিটিআরসি

‘দ্বাদশ ব্যক্তি’ হামজাদের প্রতিপক্ষ

জনগণের আমানত রক্ষায় জমিয়ত সর্বদা সচেষ্ট থাকবে : মোহাম্মদ আলী

১০

স্বর্ণে সর্বোচ্চ দামের নতুন ইতিহাস, ভরি কত

১১

অসুস্থ নাতনিকে দেখতে যাওয়ার পথে প্রাণ গেল নানা-নানির

১২

এবার রুপার দামেও নতুন রেকর্ড

১৩

ডিএসসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহীসহ ৬ জনের নামে মামলা

১৪

কেশবপুরে মন্দির থেকে স্বর্ণালংকার, শালগ্রাম শিলা চুরি

১৫

সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার আগে যা ভাবতে বললেন নুর

১৬

অনলাইন জুয়া চক্রের শীর্ষ এজেন্ট লিপু রিমান্ডে

১৭

ভারতীয় নাগরিক জগদীশকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

১৮

পবিপ্রবিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘পর্দা কর্নার’ চালু

১৯

ভোটারদের পছন্দে এগিয়ে কোন দল, উঠে এলো জরিপে

২০
X