তীব্র শীতে জড়সড় হয়ে পড়ছে সর্ব উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ের মানুষজন। ঘনকুয়াশা আর মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের দাপটে বিপর্যস্ত আশপাশের জেলার বাসিন্দারাও।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) একই সময়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
এসব তথ্য জানিয়েছেন তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
গতকাল সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তাপ ছড়াতে পারেনি। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশায় আবৃত ভোর থেকেই। বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশার শিশির। একদিকে প্রচণ্ড শীত, অপরদিকে ঘন কুয়াশার আধার। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। পাথর-চা শ্রমিক, দিনমজুর, থেকে নানা শ্রমজীবী মানুষও বেশ কষ্টে আছেন। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। প্রয়োজন ছাড়া অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেরিয়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবীরা। বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও। তারাও ঠান্ডার প্রকোপের কারণে ক্ষেত-খামারে কাজ করতে পারছেন না। শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মিলছে না প্রয়োজনীয় গরম কাপড়। রাস্তায় চলা ভবঘুরে মানুষরাও পড়েছে শীত দুর্ভোগে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ্ বলেন, এ জেলার তাপমাত্রা গতকাল থেকে একটু বাড়ছে। আজকে তাপমাত্রা সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমে মৃদু কিংবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
মন্তব্য করুন