এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বরিশালের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ওঠানামা করছে। এ তীব্র শীতের মধ্যে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এতে বরিশালের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকেই নগরীর অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। যে নগরীতে সারারাত পর্যন্ত জনসাধারণের পদচারণা থাকে তা রাত ১০টার পরপরই কমে গিয়ে প্রায় জনশূন্য হয়ে যায়। এমন তীব্র শীত আর বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সী।
এর প্রভাবে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার ৯ গুণ রোগী ভর্তি রয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চপর্যবেক্ষক আবদুল কুদ্দুস রাতে কালবেলাকে বলেন, বিকেল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাত ৯টা পর্যন্ত ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬টায় বরিশালের তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রাত ৯টায় ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। স্বাভাবিক লঘু চাপের প্রভাবে এ বৃষ্টি হচ্ছে। এ বৃষ্টি স্থায়ী হবে না বলে জানান তিনি।
রিকশাচালক আবদুল রাজ্জাক জানান, বিকেল থেকে বৃষ্টি। ১০টার দিকেই নগরী ফাঁকা হয়ে গেছে। তাই রাস্তায় কোনো লোকজন নেই।
বেসরকারি চাকরিজীবী প্রিন্স মাহমুদ বলেন, কাজ শেষে বাসায় যাব কিন্তু বৃষ্টির কারণে রাস্তায় আটকে আছি। বৃষ্টির কারণে রিকশাও পাচ্ছি না। যে দু’একটা রিকশা পাচ্ছি তারাও দ্বিগুণ ভাড়া চাচ্ছে।
মন্তব্য করুন