বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রাঙামাটি ও রাজস্থলী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কনকনে শীতে কেমন আছেন পাহাড়ের বাসিন্দারা

ঠান্ডা থেকে বাঁচতে আগুন জ্বেলে তাপ পোহাচ্ছে শিশুরা। ছবি : কালবেলা
ঠান্ডা থেকে বাঁচতে আগুন জ্বেলে তাপ পোহাচ্ছে শিশুরা। ছবি : কালবেলা

পার্বত্য অঞ্চল রাঙামাটিতে সারা দেশের মতো কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। গাছপালায় ঘেরা পাহাড়ে বাসিন্দাদের বাস মূলত খুপড়ি-মাচাং ঘরে। বেড়ার ফাঁক দিয়ে হিমেল হাওয়া যেন হাড় কাঁপিয়ে দেয়। তাই এখানকার শীতও অন্যান্য অঞ্চলের থেকে আলাদা।

পাহাড়ে হাড় কাঁপানো শীতের কারণে এখানকার কৃষিজীবী, দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছেন। তীব্র শীতে কাঁপছে পাহাড়ের মানুষ। ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জীবনযাত্রা। সে সঙ্গে ঘনকুয়াশায় সড়কে চলাচল আরও বিপজ্জনক হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাঙামাটিতে গত দুই দিন ধরে কুয়াশায় সূর্যের দেখা মিলছে না। পাশাপাশি মাঝে মধ্যে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে।

ঘনকুয়াশায় শীতে কাবু জেলা সদরসহ দুর্গম উপজেলাগুলোর মানুষ। অপর দিকে কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চালাচল করতে হচ্ছে। তবু থাকছে দুর্ঘটনা শঙ্কা।

এদিকে রাত ও দিনে তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দিনের চেয়ে রাতে অনেক বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। ঘনকুয়াশা ও ঠান্ডায় নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

এখানে গবাদি পশু-পাখিও ঠান্ডায় কাবু হয়ে গেছে। শীত থেকে বাঁচাতে নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন গৃহস্থরা।

বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাতভর পড়া কুয়াশায় ভিজে গেছে পিচঢালা সড়ক। কুয়াশার মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কাজের সন্ধানে ছুটছে কর্মজীবী মানুষ। কয়েকটি বিদ্যালয়ের মাঠে আগুন জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীদের তাপ পোহানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। গ্রামের বাজারগুলোতে অন্যান্য সময়ের চেয়ে লোক সমাগম কম।

বাঙালহালিয়া এলাকার যতীন্দ্র মারমা বলেন, ঘনকুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে না। আগে দিনে ৬০০ টাকা মজুরি পেতাম। গত কয়েক দিন ধরে ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারিনি। টাকাও আয় হয়নি। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে। এক দিকে আয় কম, অন্যদিকে বাজারের সব জিনিসের দাম বেশি।

রাজস্থলী বাজারের টমটম চালক জমির উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় রাস্তা দেখা যাচ্ছে না। বাতি জ্বালিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। মাঝ দুপুরে কিছুটা কমলেও বিকেল ৪টার পর ঘনকুয়াশা ফের শুরু হয়। সন্ধ্যা হলে হেড লাইট জ্বালালেও কিছু দেখা যায় না।

এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় সময় দেখা যায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক শওকত আকবর জানান, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। এ সময় চলাফেরায় সবাইকে সাবধান হতে হবে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা লাগানো যাবে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কড়াইল বস্তিবাসীর পাশে যুবদল নেতা

বড়পুকুরিয়ায় কয়লা স্তূপে ধস

চবিতে ভুয়া শিক্ষার্থী আটক

ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নতুন সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন

জনগণের ভোটের আঘাতে সব ষড়যন্ত্র ধসে পড়বে : গয়েশ্বর

স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের নির্ভরতায় সশস্ত্র বাহিনী

সিরামিক এক্সপো ২০২৫ প্রারম্ভে - ডিবিএল সিরামিকস সৌজন্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ

জেলে বসেই অনার্সে ফার্স্ট, ১২ বছর পর মাস্টার্সেও প্রথম স্থান—কে এই শিবির নেতা?

ভাতিজার লাথিতে প্রাণ গেল চাচার

বহিষ্কৃত ৭৪ নেতাকে ‍নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত

১০

কর্মবিরতির ঘোষণা শিক্ষকদের / প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে অনিশ্চয়তা

১১

মা ও দুই শিশুর মরদেহ পৃথক স্থানে দাফন, মামলা হয়নি এখনো

১২

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে : সেলিমা রহমান

১৩

বিশ্বকাপ ড্র ফরম্যাটে বড় পরিবর্তন আনল ফিফা

১৪

গোলাম রাব্বানীর ছাত্রত্ব ও এক পদ বাতিল করল ঢাবি

১৫

সাভারে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

১৬

দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না সার

১৭

দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেলে অটোর ধাক্কা, স্কুলশিক্ষক নিহত

১৮

প্রতিটি ইউনিয়নে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা 

১৯

ইসলামেই আসবে সত্যিকারের মুক্তি : চরমোনাই পীর

২০
X