শীত আর শৈত্যপ্রবাহে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নাকাল হয়ে পড়েছে প্রাণিকুলের অবস্থা। শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, এটিই আজ দেশের সর্বনিম্ন। গতকাল বুধবার ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে হিমেল হাওয়া ও কন কনে শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। তারা কাজে বের হতে পারছে না। বাড়ছে মানুষের রোগবালাই। কনকনে বাতাসে শিশু ও বৃদ্ধরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অরবিন্দুশিশু হাসপাতালে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
সন্তানকে নিয়ে স্কুলগামী এক অভিভাবক স্বীকৃতি দান ইরাস বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডায় গৃহস্থালি কাজ করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি করাতে কষ্ট হচ্ছে, অনেকেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তাই বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাকলে ভালো হয়।
ভ্যানচালক সালাম বলেন, অনেক শীত জেঁকে বসেছে, ঘর থেকে বের হতে পারতেছি না। কাজ না করলে কী খাব, তাই ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা শতভাগ। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
মন্তব্য করুন