বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বসবাসরত ২৪০ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি)।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন এ নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বান্দরবান-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান পরিস্থিতির কারণে ছাত্র-ছাত্রী ও সীমান্তে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী সব পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তবর্তী স্কুলগুলো বন্ধ ও সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। এরই মধ্যে সীমান্ত লাগোয়া দেশটির সরকারি বাহিনীর তুমব্রু রাইট ক্যাম্প দখলে নিয়েছেন বিদ্রোহীরা। বর্তমানে ঢেকুবনিয়ে বিজিপি ক্যাম্প দখলে নিতে উভয় পক্ষের লড়াই চলছে। তাদের এ সংঘাতে ব্যবহার করা গুলি ও মর্টার শেলের গোলা সীমান্ত অতিক্রম করে এসে পড়ছে বাংলাদেশের ঘুমধুম এলাকার বিভিন্ন লোকালয়ে।
সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এক বাংলাদেশি নারীসহ দুজন নিহত ও আহত হয়েছে অন্তত তিনজন।
এ অবস্থায় সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য ১নং উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৭ পরিবারের ১২৭ জন আশ্রয় নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ঘুমধুম সীমান্তে বসবাসরত লোকজন নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১নং উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৭টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
মন্তব্য করুন