হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক বিএনপি নেতার মালিকানাধীন গাছ সরকারি নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন ওই নেতাসহ আরো কয়েকজন।
ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে। ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা তারেক মির্জা উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য।
জানা যায়, মাধবপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জাকিরুল হাসানের স্বাক্ষরিত এক নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলার কমলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেষে ৬টি গাছ নিলামে বিক্রির কথা উল্লেখ করা হয়। আর ওই বিএনপি নেতার দাবি, স্কুল ঘেষা জায়গাটি তার ওয়ারিশান মালিকানাধীন। আর নিলামে উল্লেখিত ৬টি গাছ তার সেই জায়গার অন্তর্গত।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে ওই নিলাম কার্যক্রম।
বিএনপি নেতা তারেক মির্জা জানান, আমি ইউএনও ও শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। আমার জায়গা আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হোক।
কমলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল মিয়া জানান, তারেক মির্জা উপজেলা প্রশাসনে অভিযোগ দায়ের করেছেন সত্য। তবে ওই জায়গা এবং গাছের মালিকানার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। এখানে আমাদের কোনো দোষ নেই।
মাধবপুরের শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জাকিরুল হাসান জানান, বিষয়টি আমি জানতাম না। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব। যদি সে মালিক হয় তবে অবশ্যই নিলাম বন্ধ হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই জায়গার এক ওয়ারিশ জানিয়েছেন, জায়গা বুঝিয়ে না দিলে এবং তদন্তপূর্বক নিলাম বন্ধ না করলে তারা মানববন্ধনের ডাক দেবেন।
অন্যদিকে ওই নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে ৬নং কলামে ‘সর্বোচ্চ নিলাম ডাককারীকে কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করতে বাধ্য নয়’ এমন বিধিবহির্ভূত শর্তে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতা মাসুদ লস্করসহ সচেতন মহল। যা নিলামের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মাধবপুরের ইউএনও একেএম ফয়সালকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও ফোন রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন