নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্রামবাসীর ওপর মোশা বাহিনীর সন্ত্রাসীরা ফের তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মোশা বাহিনীর হামলায় রূপগঞ্জের নাওড়া গ্রামে ৮ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১৬ জন আহত হয়েছেন। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আহতরা সবাই গ্রামের সাধারণ মানুষ। সোমবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গত ১২ দিনে এ নিয়ে মোশা বাহিনী দুই দফা হামলা চালিয়েছে। এদিকে তাদের আতঙ্কে দিন পার করছেন নিরীহ গ্রামের সাধারণ মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে উপজেলায় কায়েতপাড়ার নাওড়া মৌজায় শাহিনা আক্তারের জমি দখলে এলে তাতে বাধা দেয় গ্রামবাসী। পরে সন্ধ্যায় ৪৫ মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশাররফ হোসেন ওরফে মোশাসহ মোশা বাহিনীর সদস্য নিরব, স্বাধীন, সাখাওয়াত উল্লাহ, আব্বাস, নাজমুল, রুবেল, আনোয়ার, জয়নাল, তাজেল, রিফাত, রায়হান, আলহাদি, জাগু, বুটটু, চোরা দুলাল, আব্দুল, আরমানসহ প্রায় ৫০-৬০ জন গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়। এ সময় গ্রামের নারী পুরুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বৃদ্ধরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়িভাবে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ ছাড়া সন্ত্রাসীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
হামলায় রুবেল মিয়া, নাঈম মিয়া, নূর হোসেন, হানিফ মিয়া, জাহিদ হাসান, ইয়াকুব আলীসহ আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রুবেল মিয়া ও হানিফ মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
পরে গ্রামবাসী নিজেদের আত্মরক্ষা করতে পাল্টা ধাওয়া করে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া-সংঘর্ষ। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপঙ্কর চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করেও মোশা বাহিনী ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
গ্রামবাসী জানিয়েছেন, মোশাররফ হোসেন ওরুফে মোশাসহ তার বাহিনীর সদস্যরা ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে নিরীহ গ্রামবাসীর জমি জবরদখল করতে তারা উঠে পড়ে লেগেছে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপঙ্কর চন্দ্র সাহা বলেন, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন