ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরের আম বাগানগুলোতে আমের মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। মৌমাছির গুনগুন শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে চারপাশ। মাঘের শেষে শীতের মাঝেও গাছে-গাছে মুকুল দেখা দেওয়ায় আম চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে।
উপজেলার দামোল গ্রামের আম বাগান মালিক আবুল হাসান রনি বলেন, আমার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আম বাগান রয়েছে। গত বছর তিন লাখ টাকায় বিক্রি করেছিলাম। এ বছর অগ্রিম পাঁচ লাখ টাকা দাম বলছে।
ওই গ্রামের আরেক বাসিন্দা হাসিমউদ্দিন দোকান্দার জানান, তার দুই একর জমিতে আম বাগান আছে। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি দাম পাওয়া যেতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বাগান মালিক বলেন, অনেক দিন পর আমার নতুন আম বাগানে মুকুল আসছে। এ বছর প্রায় সব গাছে মুকুল আসতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আম বাগানের আম রক্ষা পেলে এবং আমের ন্যায্য দাম পেলে সেই টাকা দিয়ে বিবাহিত কন্যার দায়-দেনা ও ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করার কথা ভাবছি।
বীরগড় গ্রামের রানা চৌধুরীর বলেন যে, এ বছর আবহা ভালো পৌষ/মাঘ মাসে বৃষ্টি হলে আমের মুকুল ও ফলন ভালো হয়। গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের ফুল ও ফল ভালো হতে পারে দাম ও ভালো পাওয়া যেতে পারে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, হরিপুর উপজেলায় ২১৪ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এরমধ্যে আম্রপালি ১২৯ হেক্টর, ফজলি ৪ হেক্টর, ল্যংড়া ৯ হেক্টর, গোপালভোগ ১০ হেক্টর, সূর্যাপুরী ১৮ হেক্টর, নিলাম্বরী ৮ হেক্টর, বারী-৪ ১০ হেক্টর, হাড়িভাঙ্গা ১২ হেক্টর, হিমসাগর ১ হেক্টর, আর্শ্বিনা ৪ হেক্টর।
উপজেলা কৃষি অফিসার রুবেল হোসেন বলেন, এ বছর এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো আছে। এ বছর আমের ফলন ভালো হতে পারে।
মন্তব্য করুন