পাবনা সদরের সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের দুবলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুজন আলী স্বপনকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুল ইসলামকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে চরতারাপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে পাবনা কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার আমিরুল ইসলাম পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের টাটিপাড়া গ্রামের আক্কাস আলী খানের ছেলে। তিনি চরতারাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে পাবনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া এই মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একটি টিম কাজ করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চরতারাপুরের মালপাড়ার চকদারপাড়ার মজিদ প্রামানিক, শহিদ প্রামানিক, লতিফ প্রামানিক, মতিন প্রামানিক ও ইকবাল হোসেনসহ অভিযুক্তদের সঙ্গে মোজাহার আলী বিশ্বাসের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে মোজাহার আলী বিশ্বাস তার সন্তান মোতালেব আলী ও প্রতিবেশী সুজন আলী স্বপনকে সঙ্গে নিয়ে জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় অভিযুক্তরা কুড়ালসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন এবং তাদের কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় সুজন আলী স্বপন ও মোজাহার আলী বিশ্বাসকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে তারা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে চরতারাপুর ইউনিয়নের মালপাড়া চোকদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত মজিদ প্রামানিক এবং একই গ্রামের বাচ্চু প্রামানিককে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন