ভারি বর্ষণ ও উজানের অব্যাহত ঢলে আবারও তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। এখনও পানিবন্দি চর এলাকাসহ নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েকশ পরিবার।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল ৬টায় তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হয়।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি বেড়ে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার কাছাকাছি মাত্র ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কোনও মুহূর্তে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এদিকে পানি বেড়েছে ধরলা নদীতেও।
পানির অব্যাহত উঠানামায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারী ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েক শত বাড়িঘরে এখনও পানি রয়েছে। কোথাও পানিতে ডুবে আছে রাস্তাঘাট। তলিয়ে গেছে বাদাম, আমন বীজতলা ও সবজি খেত।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ভাঙন সম্ভাব্য এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, পানি আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে।
মন্তব্য করুন