মুহাম্মদ আশরাফুল হক ভূঞা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মরিচের বাম্পার ফলনেও মুখে হাসি নেই নেত্রকোনার কৃষকদের

মরিচ ক্ষেত। ছবি : কালবেলা
মরিচ ক্ষেত। ছবি : কালবেলা

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন উপজেলার মরিচ চাষিরা। গত বছর লাভের মুখ দেখলেও এবছর লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা তাদের।

উপজেলার মোজাফরপুর, চিরাং, রোয়াইলবাড়ি ও পাইকুড়া ইউনিয়নে মরিচের চাষ বেশি হয়। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। তবে বাজারমূল্য কম থাকায় উৎপাদন ব্যয় ওঠা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় মোট ২২০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে মরিচ চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার টন। এক্ষেত্রে উপজেলা কৃষি অফিস মরিচ চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

এ উপজেলায় এবার বিজলি, রোপা মরিচ, বোনা মরিচ, সিন্দি মরিচের চাষ বেশি হয়েছে। মরিচ চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার হতে ৫৫ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতিমণ কাঁচা মরিচ ৭শ থেকে ৮শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর প্রতিমণ মরিচ বিক্রয় হয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায়। এবার মরিচের দাম গত বছরের চেয়ে অনেকটা নিম্নমুখী। তাই এই লোকসান গুণতে হচ্ছে চাষিদের।

সরেজমিনে উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের জালিয়ার হাওরে গিয়ে কথা হয় মরিচ চাষি রেনু ও খোকন মিয়ার সঙ্গে। তারা জানান, এবার এক বিঘা জমিতে বিজলি মরিচ, বোনা মরিচ ও রোপা মরিচের চাষ করেছি। এতে আমাদের প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। মরিচ ক্ষেত থেকে প্রথম দফায় ৪ মণ, দ্বিতীয় দফায় ৬ মণ ও তৃতীয় দফায় ১০ মণ মরিচ তুলেছি।

তিনি আরও জানান, শুরুতে ১ হাজার হতে ১২শ টাকা মণ দরে মরিচ বিক্রয় করেছি। বর্তমানে ৭শ থেকে ৮শ টাকা মণ দরে মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে। গত বছরের লাভের অঙ্ক হিসাব করে এবার মরিচের চাষ করে লোকসানে পড়েছি।

মোজাফরফুর গ্রামের কৃষক বাবুল মিয়া জানান, গত বছর বিজলি মরিচ চাষ করে ৫ হাজার হতে সাড়ে ৫ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। এবার মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারমূল্যে একেবারেই ধস নেমেছে। যার কারণে এবার মরিচ চাষে লাভ হবে না। খরচ তোলাই কঠিন হয়ে পড়বে। কৃষক আবার মরিচ চাষের প্রতি আগ্রহ হারাতে পারে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমরা মরিচ, শাকসবজি ও রবিশস্যের চাষের জন্য কৃষকদের যথারীতি উৎসাহ প্রদান করে আসছি। তবে পাইকারদের কাছে মরিচ বিক্রি না করে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে বিক্রির পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় এবার মরিচের আবাদে কোনো প্রকার রোগ বালাই আক্রমণ নেই। ফলে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর উপজেলায় ২২০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষাবাদ হয়েছে। যারা আগাম মরিচ চাষ করেছেন তারাই বেশি লাভবান হচ্ছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের সবাই পেল জিপিএ ৫

এইচএসসি ফলাফলে শীর্ষস্থান হারাল বগুড়া

যে শর্তে জুলাই সনদে সই করবে জামায়াত

নতুন বিএমডব্লিউ পেলেন রিয়াল মাদ্রিদের তারকারা

৩৮ শিক্ষকের কলেজে ৭৪ জন পরীক্ষার্থী, উত্তীর্ণ ৮

ডাকসু জাকসু চাকসুর ফল নিয়ে জামায়াত আমিরের ভবিষ্যদ্বাণী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ কলেজে পাস করেননি কেউ

কৃষকদের হাত আরও শক্তিশালী করবে বিএনপি : তারেক রহমান

রাজশাহী সদরে এবি পার্টির প্রার্থী সাঈদ নোমান

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আডা লাভলেস প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা

১০

জীবগাঁও কলেজে শতভাগ ফেল, অধ্যক্ষ বললেন ‘হতাশাজনক’

১১

আম্মু হাসপাতালে, সবাই দোয়া করবেন : তমা মির্জা

১২

লক্ষ্মীপুরে কালবেলার ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৩

দেশের ইতিহাসে এর চেয়ে স্বচ্ছ বিচার কখনো হয়নি : অ্যাটর্নি জেনারেল 

১৪

রংপুরে ৩য় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তারা / অনুসন্ধান করে ঘটনার ভেতরের সত্য প্রকাশ করে ‘কালবেলা’ 

১৫

৩ ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি

১৬

শিক্ষার্থী চারজন, পরীক্ষা দেওয়া দুজনের কেউ পাস করেনি

১৭

ধারাবাহিকের মূল ভূমিকায় হেদায়েত উল্লাহ তুর্কী 

১৮

রাকসু নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশ

১৯

খতমে নবুওয়তের চেতনায় সত্য ও ন্যায়ের পথে এগিয়ে যাক কালবেলা : মুহিউদ্দীন রাব্বানী

২০
X