নওগাঁর নিয়ামতপুরে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। বয়ে যাচ্ছিল বাতাস। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সে সঙ্গে বাতাসের গতিও বেড়েছে। এতে সরিষা, আলু ও গম চাষিদের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
গম চাষি মোজাহার হোসেন বলেন, তার এক বিঘা জমিতে গমের আবাদ ভালো হয়েছিল। ১৫-২০ দিন পর গম ঘরে উঠত। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে সব নুয়ে পড়েছে। এতে ফলন বিপর্যয় হবে। লাভের জিনিস একদিনের ব্যবধানে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আলু চাষি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, হঠাৎ করে রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। জমিতে আলু রয়েছে। যদি এভাবে দু-একদিন বৃষ্টি হয়; তাহলে ক্ষেতেই আলুর পচনসহ নানা রোগবালাই দেখা দেবে। আলু চাষিদের লোকসান গুনতে হবে।
সরিষা চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন সরিষা তোলার মৌসুম। আমি সরিষা তুলে জমিতে শুকাতে দিয়েছি। হঠাৎ বৃষ্টিতে তা ভিজে গেছে। এভাবে বৃষ্টি হলে সরিষা জমিতে পড়ে নষ্ট হয়ে যাবে। অসময়ের বৃষ্টিতে আমাদের অনেক লোকসান হবে।
এদিকে আমের রাজধানী খ্যাত নওগাঁয় আমের মুকুল আসার পর থেকে অনাবৃষ্টি ও রোদ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন উপজেলার চাষিরা। তবে তাদের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিয়েছে এ বৃষ্টি। এতে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের আমচাষিরা।
তবে নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল হাসান বলেন, বৃষ্টিতে কৃষকের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে এটি যদি স্থায়ী হয়, সেক্ষেত্রে সরিষা, আলু ও গমের কিছুটা ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ বৃষ্টি আম ও ধান চাষের ক্ষেত্রে উপকারী।
মন্তব্য করুন