সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এবং জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদকে গ্রেফতারের দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে জেলা বাস-মিনিবাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নসহ পাঁচটি শ্রমিক সংগঠন।
এর আগে ৭ জুলাই জৈন্তাপুরের দরবস্তে ইজিবাইকের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় পাঁচজন নিহত হওয়ার জের ধরে বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগণা সালিশ কমিটির সভায় অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন বাসচালকদের ছাঁটাইয়ের দাবিতে এই সড়কে বাস চলাচল করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী রোববার (৯ জুলাই) জৈন্তাপুরবাসী সিলেট-তামাবিল সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন।
এর প্রতিবাদে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা সোমবার (১০ জুলাই) থেকে এই সড়কে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল। মঙ্গলবারের (১১ জুলাই) মধ্যে দাবি পূরণ না হলে বুধবার (১২ জুলাই) থেকে সিলেট জেলাজুড়ে একই কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।
ঘোষণা অনুযায়ী সোম ও মঙ্গলবার এ সড়কে কোনো বাস চলাচল করেনি। বুধবার থেকে যখন গোটা জেলাজুড়ে পরিবহন শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে বসেন প্রশাসন এবং শ্রমিক নেতারা। দীর্ঘ আলাপ আলোচনা শেষে বাস চলাচলের ব্যাপারে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
আলোচনার ফলাফল সন্তোষজনক হওয়ায় সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মইনুল হোসেন কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এরপর জেলাজুড়ে যাত্রী সাধারণ ও শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি নেমে আসে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অবস) মো. শেখ সেলিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রফিকুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন