বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৯ এএম
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:২২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

এক বউয়ের দুই স্বামী!

হৃদয় মিয়া ও স্বামীর দাবিদার শামীম মিয়ার সঙ্গে ছালমা আক্তার মীম। ছবি : কালবেলা
হৃদয় মিয়া ও স্বামীর দাবিদার শামীম মিয়ার সঙ্গে ছালমা আক্তার মীম। ছবি : কালবেলা

জামালপুরের বকশীগঞ্জে এক স্ত্রীকে নিয়ে দুই স্বামী টানাটানি শুরু করেছে। দুজনই দাবি করছেন তারা বৈধ স্বামী। রোববার (১৭ মার্চ) এ নিয়ে ধ্বস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটেছে।

জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল সদর ইউনিয়নের ভাটিচারিয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে হৃদয় মিয়া দেড় বছর আগে ঈশ্বরগঞ্জ থানার সরিষা ইউনিয়নের সরিষা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে ছালমা আক্তার মীম (২৫)-কে শরিয়া মোতাবেক অভিভাকদের উপস্থিতিতে বিয়ে করেন।

দেড় বছরের সংসার জীবন তাদের শান্তিতেই চলছিল। ৫ মার্চ মীম স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর থেকেই স্বামী হৃদয় মিয়া স্ত্রীকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। ১৫ মার্চ মীম তার স্বামী হৃদয় মিয়ার মোবাইলে কল দিয়ে জানান, তিনি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের আওয়ালপাড়া গ্রামে সাহা মিয়ার ছেলে শামীম মিয়ার কাছে অবরুদ্ধ আছেন।

খবর পেয়ে হৃদয় মিয়া রোববার আওয়ালপাড়ায় গিয়ে শামীমের বাড়ি থেকে স্ত্রীকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ শহরে নিয়ে আসেন।

পরে এ ঘটনায় সালিশ বসে। সালিশে মীম তার স্বামী হৃদয় মিয়ার সঙ্গে চলে যেতে চান। এ সময় শামীম মিয়া উপস্থিত লোকজনকে একটি কাবিননামা দেখিয়ে জানায়, ছালমা আক্তার মীম তার পূর্বের স্বামী হৃদয় মিয়াকে তালাক দিয়েছেন। এর ৩ দিন পর মীমকে আমি বিয়ে করি।

শামীম মিয়া দাবি করেন, মীম তার বিবাহিত স্ত্রী। তবে মীমের দেওয়া তালাকনামার কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি ২য় স্বামীর দাবিদার শামীম।

সালিশের একপর্যায়ে শামীম মিয়া উপস্থিত লোকজনের সামনেই প্রকাশ্যে মীমকে ও তার স্বামী হৃদয় মিয়াকে মারপিটের হুমকি দেয়। পরে জোর সবার সামনেই মীমকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় শামীম মিয়া।

এ বিষয়ে হৃদয় মিয়া জানান, নান্দাইল থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলার আওয়ালপাড়া গ্রামে যাওয়ার পর আমি স্ত্রীর সন্ধান পাই। তাকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে আসার পর কয়েকজন লোক আমাদের গতিরোধ করে। পরে সালিশ বসিয়ে উপস্থিত লোকজন আমার স্ত্রীকে শামীমের হাতে তুলে দেয়। পরে প্রকাশ্যে শামীম উপস্থিত লোকের সামনেই আমার স্ত্রীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যায়। এখন আমার স্ত্রী কোথায় কী অবস্থায় আছে আমি জানি না। তারা যে কোনো সময় আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলতে পারে। আমি আমার স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য আইনের আশ্রয় নেব।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি পুরোপুরি কিছু জানি না। কেউ আমার কাছে বিচার নিয়ে এলে আমি ন্যায়বিচার করতে বাধ্য হবো। যদি আইন আমাকে সাহায্য না করে তাহলে থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিনেমায় বাঙালিয়ানা কোথায়: রঞ্জিত মল্লিক

দেশে কতবার গণভোট হয়েছে, কেমন ছিল ফলাফল

ট্রাম্পকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মাননা দেবে ইসরায়েল

শিক্ষা ভবনের সামনে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীরা, যান চলাচল বন্ধ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হবে কি না জানালেন প্রেস সচিব

আগামী সংসদের ওপর পিআর ইস্যু ছেড়ে দিতে বললেন মির্জা ফখরুল

দাবি মিজানুর রহমানের / বরিশালের হয়ে বিপিএল খেলবেন তামিম!

ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা, কিস্তির গ্যাঁড়াকলে জেলেরা দিশেহারা

তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল আরও এক দেশ

১০

দরিয়া-ই-নূর যেভাবে বাংলাদেশে

১১

স্কুলে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড নিয়ে ২ শিক্ষকের মারামারি

১২

টাকা ছাড়া ফেরিতে গাড়ি উঠতে দেয় না বিআইডব্লিউটিসির লস্কররা!

১৩

যে সাত ইসরায়েলি মুক্তি পেলেন

১৪

জুটি বাঁধছেন বিজয়-কীর্তি

১৫

শিক্ষা ভবন অভিমুখে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা

১৬

বিপিএলে অংশ নিতে আয়োজকদের যে শর্ত দিল বরিশাল

১৭

সাত ইসরায়েলি বন্দি হস্তান্তর, মুক্তির অপেক্ষায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি

১৮

রাজধানীতে শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫

১৯

সফল মানুষ অফিস শেষের ১০ মিনিটে যা করেন

২০
X