রংপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের স্টোর কিপার হামিদুর রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ষাট দিনের মধ্যে জরিমানা করা অর্থ ৭ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৫ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরের অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. হায়দার আলী এ রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হামিদুর রহমান, নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের নজিবর রহমান মন্ডলের ছেলে। বর্তমানে তিনি রংপুরের গুড়াতিপাড়ায় বসবাস করেন।
এদিন আসামি আদালতে হাজিরা দিলেও রায় ঘোষণার আগেই আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যান। বিচারক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামি হামিদুর রহমান মণ্ডল রংপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের স্টোর কিপার হিসেবে কর্মরত থাকা কালে অবৈধভাবে নিজের ও স্ত্রীর নামে কোটি টাকারও বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। রংপুর নগরীতে তার তিন তলা আলিশান বাড়ি, বেশ কয়েকটি প্লট এবং নওগাঁয় বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি কিনে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
এ ঘটনায় রংপুর দুদক কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ২০১১ সালের ২৭ জুলাই দুদক আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে তার নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি হামিদুর রহমান মণ্ডলকে দোষী সাব্যস্ত করে এ কারাদণ্ড এবং জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানার অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী বিশেষ পিপি হারুন উর রশীদ জানান, আসামি হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত ছিল। রায় ঘোষণার আগে পালিয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন