পাঁচ বছর আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিনোদপুর-সান্দুরিয়া খালের ওপর। সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেই সেতু।
এ দিকে রাস্তাটি নিচু হওয়ায় সেখান দিয়ে ভ্যান, রিকশা, অটো, গরুর গাড়ি, ঠেলাগাড়ি যাতায়াতও করতে পারে না। এমনকি বিবিধ ফসল আনা নেওয়ার জন্য সেতুটি ব্যবহার করা যেত। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় ফসলের মৌসুমেও সেতুটি কোন কাজেই আসছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ধাপতেঁতুলিয়া, সান্দুরিয়া, বিনোদপুর, খড়খড়িয়াসহ ৫ গ্রামের কৃষকরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার বিনোদপুর-সান্দুরিয়া রাস্তায় বিনোদপুর খড়খড়িয়া রাস্তার সংযোগ স্থলে খালের ওপর ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্টের কর্মসূচির আওতায় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৩৮ টাকা টাকা। কিন্তু বিগত কয়েক বছরের বন্যায় সেতুর এক পাশের সংযোগ সড়কের মাটি সরে গিয়ে মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
বিনোদপুর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, ধাপতেঁতুলিয়া, সান্দুরিয়া গ্রামের লোকজনের চলাচল ও বিনোদপুর খড়খড়িয়া গ্রামের পশ্চিম ফসলী মাঠের বিবিধ ফসল বাড়িতে আনতে পাঁচ বছর আগে ব্রিজ নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় আমাদের খুবই কষ্ট হয়। ব্রিজটি শুধু নামেই আছে কাজে না। এ ধরনের ব্রিজ আমাদের দরকার নাই।
একই এলাকার শফিকুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন, রহমত আলী, আরিফুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, সান্দুরিয়া গ্রাম থেকে বিনোদপুর গ্রামের যাতায়াতের সড়কটি নিচু অথচ সেতুটির উচ্চতা প্রায় সাত থেকে আট ফুট। সেতু নির্মাণের ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুর পশ্চিম অংশে সংযোগ স্থলে মাটি না থাকায় সেতুতে ওঠানামার কোনো ব্যবস্থা নাই।
বারুহাঁস ইউপি চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক জানান, বিনোদপুর বঙ্গমাতা সরকারি কলেজ, দাখিল মাদ্রাসাসহ তাড়াশ উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য ধাপতেঁতুলিয়া, সান্দুরিয়া গ্রামের শিক্ষার্থী ও লোকজনের চলাচলের সংক্ষিপ্ত পথ। তবে ওই স্থানে সেতুটি তখনই বেশি কাজে আসবে যখন বিনোদপুর-সান্দুরিয়ার নিচু রাস্তাটি মাটি ভরাট করে উঁচু করা হবে। এ ছাড়া সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি দিয়ে সেতুতে ওঠার ব্যবস্থা করতে হবে।
তাড়াশে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ফরহাদ লথিব জানান, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে আমি সরজমিনে গিয়ে ব্রিজটি দেখে যদি রাস্তা না থাকে অবশ্যই মাটি ভরাটের প্রকল্প দিয়ে সংযোগ সড়ক করে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন