আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জয়পুরহাটের ২ টাকার বেগুন রাজধানীতে হাফ সেঞ্চুরি

জয়পুরহাট বেগুনের পাইকারি বাজার। ছবি : কালবেলা
জয়পুরহাট বেগুনের পাইকারি বাজার। ছবি : কালবেলা

উত্তরাঞ্চলে হঠাৎ করে বেগুনের দাম কমে গেছে। পাইকারি ২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। সেই বেগুন রাজধানীতে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সরেজমিনে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের পাইকারি বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। আশপাশের হাটগুলোতেও প্রায় অভিন্ন চিত্র। কৃষকরা জানান, তারা ২ টাকা থেকে ৮ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করছেন।

জানা গেছে, প্রতি বছর রমজান মাসে বেগুনসহ সব ধরনের সবজির দাম চড়া থাকে। ইফতারিতে বেগুনের চাহিদা থাকায় এই দাম বাড়ে। রমজানে ভালো মুনাফা পেতে রমজানকে সামনে রেখে বেগুন চাষাবাদ করেন আক্কেলপুর উপজেলার অনেক চাষি। এ বছর ঘটেছে বিপত্তি।

প্রথম রমজানে পাইকারি বাজারে বেগুন ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও ছয়/সাত রমজান থেকে দরপতন ঘটে। বেগুন এখন পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২ টাকা কেজি দরে। ফলে ক্ষেত থেকে বেগুন সংগ্রহ করার শ্রমিক, ভ্যানভাড়া ও বাজারে খাজনার খরচই উঠছে না চাষিদের। আর সেই একই বেগুন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

চাষিরা জানান, এ বছর উৎপাদন খুব বেশি হয়নি। তবুও বাজারে চাহিদা নেই। চাহিদা কম থাকায় দাম কম। বাজারে নিয়ে গেলে বেগুনের ক্রেতা নেই। অথচ প্রথম রমজানেও প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা পাইকারি বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে আক্কেলপুর কলেজ বাজারে বিক্রিতে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। আগে বহিরাগত ব্যবসায়ীরা এসে ক্ষেত থেকে চাষিদের সবজি কিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় বড় সবজির বাজারে পাঠাতেন। তখন ভালোই মুনাফা পেতেন চাষিরা। বর্তমানে বাজারে বহিরাগত ব্যবসায়ীরা না আসায় বাজার মন্দা।

লড়ি বেগুন নিয়ে কলেজ পাইকারি সবজি বাজারে এসেছেন উপজেলার চক রোয়াইর গ্রামের কৃষক মো. আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, আজ ভোর থেকে বেলা ১০টায় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনো ক্রেতার দেখা পাইনি। বাজারের শেষ দিকে একজন ক্রেতা ২ টাকা কেজি দাম বলায় তিন মণ বেগুন বিক্রি করি মাত্র ২৪০ টাকায়। এ বেগুন ক্ষেত থেকে তুলতে শ্রমিক খরচ পড়েছে ৫০০ টাকা ভ্যান ভাড়া ৭০ টাকা এবং খাজনা তো রয়েছে।

উপজেলা মোহাব্বতপুর গ্রামের মো. শামিম বলেন, গতকাল যে বেগুন নিয়ে এসেছিলাম তা বিক্রি করেছি ১৫০ টাকা মণ। আজ সেই বেগুন ৮০/১০০ টাকা মণে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে আমরা কৃষক (গৃহস্থ) পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। প্রতি বিঘা বেগুন চাষাবাদ করতে খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।

বেগুনের পাইকারি ক্রেতা মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমি হাজারি বেগুন ১২০ থেকে ১৫০ টাকা মণ কিনেছি। নরমাল (লড়ি) বেগুন প্রতি মণ ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। আমি ৬০ থেকে ৭০ মণ বেগুন কিনেছি তা রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজারে পাঠাব। বেগুন কিনে পাঠাতে প্রতি কেজিতে সবমিলে খরচ পরে ৮ থেকে ৯ টাকা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপদেষ্টা রিজওয়ানাকে এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি

একটি দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় : কফিল উদ্দিন 

চাকসু নির্বাচনে নতুন প্রত্যয়ে ছাত্রদল

বন্দর ব্যবসায়ী নেতারা / মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের ষড়যন্ত্রের অংশ

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে ৬ হাজারের বেশি মতামত পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

জুলাইয়ের গাদ্দারদের সব রেকর্ড প্রকাশ করা হবে : মুনতাসির

যে ছয় ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছাড়তে রাজি নয় ইসরায়েল

ময়মনসিংহে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

ধানের শীষের বিজয় মানেই জনগণের মুক্তি : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

বাবর আজমকে নিয়ে ধারাভাষ্যে রমিজ রাজার তির্যক মন্তব্য

১১

‘সঠিক ও মানসম্পন্ন সংবাদ উপস্থাপনে সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে’

১২

আন্দরকিল্লা মসজিদ আইকনিক করতে ব্যয় ৩০০ কোটি

১৩

মেসির চেয়েও ধনী শুধু দুইজন ক্রীড়াবিদ!

১৪

প্রবাসীর ছেলেকে দাদা-দাদির কবরের পাশে ঠাঁই দিল না চাচারা

১৫

শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

১৬

বিপিএলের জন্য নতুন রূপে প্রস্তুত হচ্ছে রাজশাহী স্টেডিয়াম

১৭

সাংবাদিককে আটক করে পুলিশের মারধর, গায়েব করার হুমকি

১৮

রেড ক্রিসেন্ট থেকে এনসিপি নেতাকে অব্যাহতি

১৯

নাসিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আবারও এনসিএল শিরোপা রংপুরের ঘরে

২০
X