মেহেরপুরে কয়েকটি সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকার প্রতি অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। সেই দপ্তরগুলোতে মহান স্বাধীনতা দিবসে সরকারি বিধি অনুযায়ী উত্তোলন করা হয়নি জাতীয় পতাকা। এতে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠান সূচিতেও পতাকা উত্তোলনের কথা বলা হয়েছে। তবে সরকারি নির্দেশনাকে মানেনি মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়, সদর উপজেলা ভূমি অফিস এবং বিআরটিএ অফিস।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় জাতীয় পতাকার অবমাননার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
আলোচনা সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘এই পতাকার জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি?। আজকে দেখছি খোদ সরকারি অফিসগুলোতেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। এ ছাড়াও অনেক স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এ জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করিনি। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আর কি কথা বলব। আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে মসিউর রহমান নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘মেহেরপুরের সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকার অবমাননা দীর্ঘদিন ধরে। ইতোপূর্বে শিশু দিবসে কয়েকটি দপ্তরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকতে দেখা গেছে। আজ পর্যন্ত তাদের সতর্ক করা হয়েছে কিনা জানি না।
জাতীয় দিবসে পতাকা উত্তোলন না করার কারণ জানতে মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মো. ওয়ালীউল্লাহ এবং সদর এসিল্যান্ড মাজহারুল ইসলামকে কয়েকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. শামীম হাসান কালবেলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার বিষয়টি আমি শুনেছি। তাদের সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের দায়িত্বে অবহেলা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ২৫ মার্চেও অনেকে সরকারি কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের ইতোমধ্যে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।’
মন্তব্য করুন