পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে সরব হয়ে উঠেছে তাঁতকুঞ্জ খ্যাত সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তাঁতপল্লীগুলো। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত এ অঞ্চলের তাঁত মালিক ও শ্রমিকদের ব্যস্ততার যেন শেষ নেই। এই ব্যস্ততা শুধু পুরুষই নয় নারীদেরও। তারাও পুরুষদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসব কাজে সহযোগিতা করে চলেছে। সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তাঁত প্রধান তামাই, শেরনগর, চন্দনগাঁতি রান্ধুনী বাড়ি এলাকায় অবস্থিত কারখানায় মালিক ও শ্রমিকরা শাড়ি, লুঙ্গি ও থ্রি পিচ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। বসে নেই নারীরাও।
এদিকে পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নলীভরা, সুতাপারি করা, মাড়দেয়া ও রঙ তুলিতে নকশা আঁকাসহ কাপড় বুননের কাজেও সহযোগিতা করছেন ওই এলাকার নারী শ্রমিকরা। নলিতে সুতা ভরা, সুতাপারি করা, মাড় দেওয়া ও রঙতুলিতে নকশা আঁকাসহ কাপড় বুননে সহযোগিতা করছেন।
জালাল হোসেনসহ একাধিক তাঁত শ্রমিকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজান মাসে তাদের কাজের চাপ বেড়ে যায়। আগে দিনে ৭-৮ ঘণ্টা কাজ করলেও এখন ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। এতে তাদের আয়ও বেড়েছে। ঈদে নিজের ও পরিবারের চাহিদাকে ঘিরে বাড়তি আয়ের উদ্দেশ্যে মূলত অতিরিক্ত সময় কাজ করছেন। তবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তাদের কাজের সমস্যা হলেও তা মানিয়ে নিয়ে অতিরিক্ত আয়ের উদ্দেশ্যে তাঁত কারখায় শ্রম দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
সোয়ান লুঙ্গির সবত্বাধিকারী বাবু সরকার জানান, সারা বছর যেমন তেমন আমরা যার তাঁতের ব্যবসায়ী রয়েছি তারা ঈদ ও পূজাকে ঘিরে আশায় থাকি ভালো ব্যবসা হবে। সেই অনুপাতে তাঁতিরা কাপড় উৎপাদন করে থাকে। এ বছরও তারই ধারাবাহিকতায় আশা রাখছি যে ঈদে ভালো একটা ব্যবসা হবে। আমরা কিছুটুকুও হলেও লাভের মুখ দেখব। তবে এখনো ভালো কিছু বুঝতেছি না। সামনে আরো দিন রয়েছে দেখা যাক কি হয়। আশা করি বিক্রি ভালোই হবে।
জ্যোতি শাড়ি ঘরের স্বত্বাধিকারী বৈদ্য নাথ রায় জানান, রোজার বেশ কয়েকটা চলে গেলেও এখনো কাপড়ের বাজার খুব একটা সন্তোষজনক না। তবে সামনে আরও কয়েক দিন রয়েছে। আশা করছি ঈদকে ঘিরে আমরা যে আশায় বুক বেঁধেছিলাম তা পূর্ণ হবে।
মন্তব্য করুন