রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কোটি টাকার দুর্নীতি তদন্তে পশ্চিমাঞ্চলের রেলে দুদকের হানা

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সদর দপ্তরে দুদকের অভিযান। ছবি : কালবেলা
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সদর দপ্তরে দুদকের অভিযান। ছবি : কালবেলা

কয়েকশ কোটি টাকার কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহীতে থাকা রেলভবনে (পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সদর দপ্তর) অভিযান পরিচালিত হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ অভিযান চালায়।

ঘণ্টাব্যাপী চলা এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন, দুদক রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন। তার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযান পরিচালনাকালে দুদক কর্মকর্তারা পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) সঙ্গে কথা বলেন এবং এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র দেখতে চান। এ সময় কিছু নথিপত্র পান আরও কিছু নথিপত্র তলব করেন। পরে সেগুলো আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দুদক কার্যালয়ে পাঠানোর কথা জানান পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম।

এর আগে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভিন্ন কেনাকাটায় কয়েকশ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। আর অনিয়মের বিষয়টি নিজস্ব অডিট আপত্তিতেও উঠে আসে। সেই অভিযোগ ও অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে আজ জেলা কার্যালয় অভিযান চালায়।

দুদক রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভিন্ন মালামাল কেনাকাটায় অসঙ্গতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালানো হয়। এখান থেকে সংশ্লিষ্ট কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও কিছু নথিপত্র তলব করেছি। পরে এগুলো হাতে পেলে সব রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা হবে। এরপর কমিশনে অবহিত করা হবে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসিম কুমার তালুকদার জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের কেনাকাটাসংক্রান্ত বিষয়ে কার্যালয়ে দুদক কর্মকর্তা এসেছিলেন। তারা যেসব নথিপত্র দেখতে চেয়েছেন সেগুলো দেখানো হয়েছে এবং দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু নথিপত্র চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা হঠাৎ আসায় সব কাগজপত্র প্রস্তুত ছিল না। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সেগুলো দুদক কার্যালয়ে পাঠানো হবে বলেও জানান।

এদিকে অনিয়মের অভিযোগে উঠে এসেছে যে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের কেনাকাটায় একটি প্লাস্টিকের প্যাডেলযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়ি (প্যাডেল ডাস্টবিন) কেনার কথা ৩৩৮ টাকায়; কিন্তু একেকটি ডাস্টবিন কেনা হয়েছে ১৩ হাজার টাকা দরে। একইভাবে বাড়তি দাম দেখিয়ে ৪৮৬ টাকার প্রতিটি হ্যাকসো ফ্রেম (ধাতু কাটার করাত) কেনা হয়েছে ৩ হাজার ৪৫০ টাকা দরে। আর প্রতিটি স্লাই রেঞ্জ কেনার কথা ৮৭৮ টাকায়; কিন্তু কেনা হয়েছে ৪ হাজার ৪৫০ টাকা দরে। একই উপায়ে ৩৫০ টাকার একেকটি কোদাল কেনা হয়েছে ২ হাজার টাকায়, ৩১৩ টাকার বালতি ১ হাজার ৯০০ টাকায়, ২০০ টাকার তালা ৫ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ ছাড়া ১ হাজার ৬৫০ টাকার পর্দা অতিরিক্ত ১৮ হাজার টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে।

এর আগে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের হাসপাতালগুলোতে কেনাকাটা খাতে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকার অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি রেলভবনে অভিযান চালায় দুদক। সেই সময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও নিয়ে যান দুদক কর্মকর্তারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল ম্যাচ শেষে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৪

চট্টগ্রামে কনসার্টে গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১

চিহ্নিত ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠানের ওপর দেওয়া উচিত নয় : বিএনপি

জবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নেতৃত্বে ইমন-সোহান

এনসিপির ‘পলিসি ও রিসার্চ উইং’ গঠন, দায়িত্ব পেলেন যারা

নড়াইলে সাংবাদিকদের মিলনমেলা

‘তিন মাসের মধ্যে ৬ লেনের কাজ দৃশ্যমান হবে’

শাবিপ্রবির ২৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত

ওমরজাইয়ের বোলিং তোপে বিপদে বাংলাদেশ

প্রবীণদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে : টুকু

১০

শুধু বক্তব্যে নয়, বাস্তব কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বিএনপি মানুষের পাশে রয়েছে : আনোয়ারুজ্জামান

১১

গুম-খুনে জড়িতদের সঙ্গে আপস নেই : আখতার হোসেন

১২

বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান দুলুর

১৩

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার

১৪

গুম-দুর্নীতি বন্ধে ধানের শীষে ভোট দিন : আশিক

১৫

গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণ, ভাইয়ের পর চলে গেল বোনও

১৬

ইতিহাস গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল নামিবিয়া

১৭

জিয়া পরিবারের ত্যাগ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য : কফিল উদ্দিন

১৮

বিএনপিকে ঘায়েল করতে চতুর্দিক থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে : মির্জা ফখরুল

১৯

‘গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার প্রকাশ্য ট্রাইব্যুনালে হতে হবে’

২০
X