চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৪, ১২:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন একই শিক্ষক!

দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি : কালবেলা
দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি : কালবেলা

সরকারি বিধিমালা উপেক্ষা করে দিনাজপুর চিরিরবন্দরে একই শিক্ষক চাকরি করছেন দুই প্রতিষ্ঠানে। প্রায় ১০ বছর এভাবে চলার পরেও নজরে আসেনি কর্তৃপক্ষের। নিয়ম লঙ্ঘন করা ওই শিক্ষক এমপিওভুক্ত দুই প্রতিষ্ঠানের একটিতে বাংলার সহকারী শিক্ষক ও অন্যটিতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন।

ওই শিক্ষকের নাম মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি চিরিরবন্দরের জোত সাতনালা গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, আব্দুর রাজ্জাক ২০১৪ সাল থেকে উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর মোল্লা পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে সরকারি বেতন–ভাতাও নিয়মিত পাচ্ছেন। এ ছাড়া নিজেদের প্রতিষ্ঠিত উত্তর সাতনালা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ও ২০২২ সালে এমপিওভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে আছেন তিনি।

উত্তর সাতনালা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি ও মো. আব্দুর রাজ্জাকের বড় ভাই আব্দুল মান্নান বলেন, দুই বিদ্যালয়ে চাকরি করে ঠিক। তবে সে আমাদের স্কুল থেকে বেতন ভাতা নেয় না। প্রধান শিক্ষক হিসেব যখন এ স্কুলে জয়েন করে তখন এ স্কুলের বেতন হয়নি। পরে অন্য একটি স্কুলে জয়েন করে। এখন দুই জায়গায় চাকরি করছে। সকালে আমাদের স্কুলে থেকে দুপুরে চলে যায় হাসিমপুর স্কুলে। আমি তাকে চাকরি ছাড়তে বলি না, কারণ সে শুরু থেকে এ স্কুল দেখাশোনা করছে।

উত্তর সাতনালা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যেকোনো বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হতে হলে এক প্রতিষ্ঠানে ১০ বছর চাকরি করতে হয়। আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যেখানে চাকরি করেন সেখানে চাকরির বয়স ১০ বছর না হওয়ায় বিল হবে না। তাই ওই স্কুলে চাকরি ছাড়ছেন না তিনি। স্কুলের সভাপতি প্রধান শিক্ষকের আপন বড় ভাই হওয়ায় এ স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করে রাখছেন।

এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হাসিমপুর মোল্লা পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে আব্দুর রাজ্জাক সহকারী শিক্ষক (বাংলা) হিসেবে কর্মরত। উনি ১০টায় হাজিরা দেয় এবং ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অবস্থান করে। তিনি বাড়ির কাছে একটা প্রতিষ্ঠান চলমান রাখছেন। সম্প্রতি এটি এমপিওভুক্ত হয়েছে। তিনি সেখানে কর্মরত আছেন কিনা এটা আমার জানা নেই।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলে এলাহী কালবেলাকে বলেন, হাসিমপুর মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে আব্দুর রাজ্জাক চাকরি করেন। তবে উত্তর সাতনালা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালেয়র প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব আছে তা আমার জানা ছিল না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিসিবি নির্বাচন / ভোট গণনার সময় যে বার্তা দিলেন তামিম

ব্রহ্মপুত্র নদে ভেসে আসছে হাজার হাজার গাছের গুঁড়ি

গবেষণা / ঘুম না হলে সহজ ব্যায়ামে মিলতে পারে সমাধান

ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

বিসিবি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

স্রোতের মধ্যে জীবন বাজি রেখে বাঁধ রক্ষা, মহাবিপর্যয় এড়াল বিজিবি

রাজধানীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

১ কোটি ৩০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও ব্যাংকের ম্যানেজার

কেন দীপিকাকে দেখেই বদলে গেল রণবীরের মুখ

ইসির ৫০ প্রতীকেও ‘না’, ‘শাপলায়’ অনড় এনসিপি

১০

প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিয়োগ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

১১

সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ দিচ্ছে ব্র্যাক

১২

চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পেলেন তিন বিজ্ঞানী

১৩

ক্যারম খেলা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

১৪

বিসিবি নির্বাচনের ফল ঘোষণা কখন, যা জানা গেল

১৫

স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

১৬

এক সপ্তাহের মধ্যে অনেকগুলো ঘটনা ঘটবে : তাজুল ইসলাম

১৭

গ্রি ফর্চুন অফার ক্যাম্পেইন চালু

১৮

নিয়োগ দিচ্ছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, আবেদন করুন অনলাইনে

১৯

কষ্টে দিন যাচ্ছে ‘এক টাকার মাস্টারের’, কেউ খবর রাখে না 

২০
X