গাইবান্ধায় এক নারী দেড় বছরের শিশুসহ চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এ সময় তাদের বাঁচাতে এক কলেজছাত্র এগিয়ে আসলে তিনিও গৃহবধূর সঙ্গে ট্রেনে কাটা পড়েন। তবে বেঁচে গেছে শিশুটি।
সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে গাইবান্ধা শহরের আদর্শ কলেজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে জোবায়ের মিয়া (১৮)। তিনি এস কে এস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। থাকতেন পার্শ্ববর্তী একটি মেসে। অপরজন হলেন গাইবান্ধা পৌর শহরের মাঝিপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (২৩)।
স্থানীয়রা জানান, তাদের প্রায়ই পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। এরই জেরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে শিশুসন্তানসহ ছুটে আসেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সান্তাহার থেকে পার্বতীপুরগামী পদ্মরাগ ট্রেন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অতিক্রম করছিল। এ সময় শহরের কলেজপাড়ার গৃহবধূ রাজিয়া বেগম দেড় বছরের একটি শিশু নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। কলেজ শিক্ষার্থী জোবায়ের মিয়া ওই গৃহবধূকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই দুজনে মারা যান।
এ সময় রাজিয়ার কোলে থাকা দেড় বছরের শিশু আবির হোসেন কোল থেকে ছিটকে পাশে পড়ে যাওয়ায় গুরুতর আহত হয়। পরে শিশুকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গাইবান্ধা রেলওয়ে (জিআরপি) পুলিশ ফাঁড়ি থানার এসআই মো. ফারুক হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় গাইবান্ধা জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন