শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৪ ঘণ্টা পর আখাউড়া দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু

ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভারে ত্রুটির কারণে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। ছবি : কালবেলা
ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভারে ত্রুটির কারণে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। ছবি : কালবেলা

ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভারে ত্রুটির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল যাত্রী পারাপার। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে থেকে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সার্ভার সচল হলে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়।

ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. খাইরুল কালবেলাকে বলেন, সকালে ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভারে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় যাত্রী পারাপারা বন্ধ ছিল। পরে বেলা সোয়া ১২টার দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের সার্ভার সচল হয়েছে। পরে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়।

আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জানান, সকাল ৮টায় আমরা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করি। ৮/১০ জন যাত্রী ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠাই। সোয়া ৮টার দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিএসএফের মাধ্যমে মৌখিকভাবে আমাদের জানায়, আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভার ডাউন আছে। এ কারণে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন না। তারা আমাদের অনুরোধ করে যেন কোনো যাত্রী না পাঠাই।

পরে আমরা আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারাও শূন্য রেখায় আসে। আমরাও সেখানে যাই। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা আমাদের জানান, যাদের ভারতের অভ্যন্তরীণ বিমানের টিকেট আছে তাদের ভারতে পাঠানোর জন্য। যাদের টিকেট আছে আমরা তাদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠিয়েছি। তবে সোয়া ১২টার পর যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়। এ কারণে দুদেশের আটকে পড়া যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।

চট্টগ্রাম থেকে আসা চিত্ত দে নামে এক যাত্রী বলেন, আমি চট্টগ্রাম থেকে এসেছি। আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে আগরতলা যাওয়ার জন্য। এসে শুনি আগরতলার সার্ভার ডাউন। প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে। এটা খুবই কষ্টদায়ক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়গুলো দেখা উচিত।

ভারতীয় যাত্রী দীপ্ত দেব বলেন, কিছুদিন আগে বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিলাম। আজ ফিরে যাচ্ছি, সকালে আখাউড়া ইমিগ্রেশনে এসে শুনেছি ভারতের ইমিগ্রেশন সার্ভারে সমস্যা। তাই তাই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে এ ধরনের ভোগান্তি মেনে নেওয়া যায় না। এখানে অনেক যাত্রীদের কষ্ট করতে হয়েছে। বিশেষ করে নারী শিশু ও বৃদ্ধদের বিড়ম্বনা সীমাহীন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ক্যাম্প ন্যু প্রস্তুত না হলে লা লিগার কাছে যে অনুরোধ করতে চায় বার্সা

‘নির্বাচনে আমলাদেরকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে’

সাবেক এডিসি শচীন মৌলিক কারাগারে

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন শনিবার, যেসব বিষয়ে আলোচনা

সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের শানে রিসালাত সম্মেলন

শেষ দিনেও ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত দেয়নি ৭ রাজনৈতিক দল

ইউরোপের লিগগুলোতে দল কমানোর প্রস্তাব ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির

নেপালে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রচার, তাসনিম জারার ব্যাখ্যা

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে মৃত্যুর মিছিল, তিন বছরে প্রাণ হারান ১৮৩ জন

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি 

১০

সুদ দিতে না পারায় বসতঘরে তালা, বারান্দায় রিকশাচালকের পরিবার

১১

দেশ বাঁচাতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে : চরমোনাই পীর

১২

এএসপির বাসায় চাঁদাবাজি-ভাঙচুর, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৩

জেলের জালে বড় ইলিশ, ৯ হাজারে বিক্রি 

১৪

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১৫

আগামী সংসদ প্রথম তিন মাস ‘সংবিধান সংস্কার সভা’ হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব

১৬

ধরলার তীব্র ভাঙন, টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি

১৭

নেতা ও ভোটারের জবাবদিহিই হবে শ্রেষ্ঠ সংস্কার : মঈন খান

১৮

পাপের ফল ওদের ভোগ করতেই হবে : রাশেদ খান

১৯

ক্ষমা চাইলেন স্বাধীন খসরু 

২০
X