অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে মুজিবনগর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের স্কুল মাঠের পাশে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাঁধাকান্তপুর গ্রামের আবুল কাশেম মাস্টারের ছেলে শাহরিয়ার লিওন (৩৮), আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আনসার আলীর ছেলে আরিফ হোসেন, পালু শেখের ছেলে মোছাব আলী এবং নজরুল ইসলাম আহত হন।
এ ছাড়া একই গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে আনারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও জামাই ফারুক হোসেন সংঘর্ষে আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে চিকিৎসাধীন শাহরিয়ার লিওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এদিকে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সেখানে বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সদর থানার ওসি শেখ কনি মিয়া।
আহত লিওনের পক্ষে কর্মী সুরজ আলী বলেন, তিন মাস আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। সেই নির্বাচনে গ্রুপিংয়ের জেরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষের লোকজনকে গ্রামের মসজিদ, ঈদগাহ ও গোরস্তানের কমিটি থেকে বাদ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে অপর গ্রুপের নেতাকর্মীরা। তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে এসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকদের নাম বাদ দিয়ে দিয়েছেন। গতকাল রাতে তারাবি নামাজ শেষে আমিসহ কয়েকজন একটি দোকানে বসে ছিলাম। এ সময় মহসিন আলীর ছেলে ভনা ও ফারুক, আমজাদ হোসেনের ছেলে সেলিম, রেজাউল হকের ছেলে রানা ও জাহাঙ্গীর, কিতাব আলীর ছেলে মিলটন, মোজাম্মেল হকের ছেলে হামিদুল ইসলামেরসহ ২৫ থেকে ৩০ জন প্রথমে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। পরে তারা দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হন।
মেহেরপুর থানার ওসি শেখ কনি মিয়া বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে সদর থানা ও স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের সেখানে পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
মন্তব্য করুন