চট্টগ্রাম নগরীতে নাসরিন আক্তার সুখী (৭) নামে এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কোতোয়ালী থানার ফলমন্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় সিসি ক্যামরার ফুটেজ দেখে মীর হোসেন (৩৭) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে সে। তার স্বীকারোক্তি থেকে জানা গেছে, চিপস ও চকলেটের লোভ দেখিয়ে বেড়াতে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে সুখিকে।
সোমবার (১ এপ্রিল) ভোর রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে রাত সাড়ে ৯টায় নগরের ১ নম্বর রোডের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের বিপরীতে থাকা একটি ডাস্টবিন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) অতনু চক্রবর্ত্তী জানান, সুখী তার মায়ের সঙ্গে বাকলিয়া বৌবাজার এলাকায় থাকত। সুখীর বাবার নাম আব্দুর রাজ্জাক। তার মা রাস্তা, ডাস্টবিনে বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। এ কাজের সময় সুখীকে আন্দরকিল্লা এলাকায় পরিচিত ভ্রাম্যমাণ লোকজনের কাছে রেখে আসতেন মা।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৩১ মার্চ রাতে সুখির মা বিলকিস বেগম তাকে জেনারেল হাসপাতালের সামনে বসিয়ে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেইটে ভিক্ষা করতে যান। রাত ১টার দিকে সুখি মসজিদের সিঁড়িতে ছিল। কিন্ত রাত দেড়টা থেকে মেয়ে আর খুঁজে পায়নি বিলকিস। পরদিন ১ এপ্রিল কোতোয়ালী থানার ফলমন্ডি এলাকায় শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে বিলকিস সেখান যান এবং সুখির লাশ শনাক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, শিশুর লাশ শনাক্তের পর আমাদের টিম কোতোয়ালী সিসি ক্যামরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। পরে খুনিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মীর হোসেনের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মীর হোসেনের বরাতে পুলিশ আরও জানায়, ঘাতক আন্দরকিল্লা থেকে চিপস-চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে সিআরবি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে পাহাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করে। তারপর চটের বস্তা মুড়ি ভ্যান গাড়িতে করে ডাস্টবিনে ফেলে আসে।
এদিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা অতনু।
মন্তব্য করুন