সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও বন্যপ্রাণী শিকার বন্ধসহ নানা বিষয় নিয়ে খুলনার কয়রায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-সিডিও কর্তৃক মুন্ডা সম্প্রদায়ের লোকজনের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, উপকূলের তরুণদের সম্পৃক্ত করে সুন্দরবনের গাছ কাটা বন্ধে ও উপকূলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গ্রিনকোস্ট মুভমেন্টের উদ্দেশ্য। এই মুভমেন্টের মানববন্ধনে মূলত সুন্দরবনের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি সুন্দরবনের বৃক্ষ ও প্রাণীসম্পদ রক্ষার বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়াও উপকূলে গাছ কাটা ও পাখি শিকার বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। এই মানববন্ধনে মুন্ডা সম্প্রদায়ের তরুণরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও আলোকিত তরুণরা অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবু হেনা কামাল তার বক্তব্য বলেন, সুন্দরবন আমাদের মায়ের মতো। সুন্দরবন আছে বলেই উপকূলের মানুষ দুর্যোগ থেকে রক্ষা পায় এবং সুন্দরবনে জেলে ও মৌয়ালরা উপার্জন করতে পারে। সুন্দরবনকে রক্ষার পাশাপাশি আমাদের উপকূলের জীববৈচিত্র্য রক্ষার দিকে মনোযোগী হতে হবে। সুন্দরবনকে সব হুমকি থেকে বাঁচাতে স্থানীয় এবং বন বিভাগের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং এই মুভমেন্টের উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সুন্দরবন আমাদের অন্যতম শক্তি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সুন্দরবন ঝড়ের গতিবেগ কমিয়ে দেওয়ার কারণে উপকূলে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। এ ছাড়াও সুন্দরবন আমাদের মায়ের মতো। সুন্দরবনের হরিণ শিকার করছে কিছু অসাধু মানুষ। এটি সবাই মিলে প্রতিহত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন ও উপকূলের গাছ এবং প্রাণিসম্পদ রক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদানের পাশাপাশি আগামীতে উপকূলকে সবুজায়ন করার উদ্দেশ্যে এই আন্দোলনটি মূলত শুরু করা হয়েছে।
কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, এই আন্দোলনটি মূলত সুন্দরবনকে কেন্দ্রে করে শুরু করা হলেও পরবর্তীতে এটাকে আরও বিস্তৃত করা হবে।
মন্তব্য করুন