

সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে চার জেলে বনদস্যুর হাতে অপহৃত হয়েছেন। তাদের মুক্তির জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা করে চাওয়া হয়েছে। অপহৃতদের একজন মুক্তিপণ পরিশোধের পর বাড়ি ফিরে এসেছেন।
গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা রেঞ্জের আঠারবেকি এলাকার একটি খালে ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযুক্ত দস্যু আলিম বাহিনীর সদস্যরা এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
শ্যামনগর উপজেলার বড়ভেটখালী গ্রামের ইউসুফ গাজী জানান, তিনি ২০ নভেম্বর কৈখালী স্টেশন থেকে অনুমতিপত্র (পাস) নিয়ে নিজের নৌকায় মরগাং গ্রামের ইব্রাহিম শেখ ও আনিস শেখকে নিয়ে বনে প্রবেশ করেন। একইভাবে পাস নিয়ে মরগাং গ্রামের হাসান শেখ এবং বড়ভেটখালীর আবদুল গাজীও সুন্দরবনে যান। শুক্রবার সন্ধ্যায় আঠারবেকি ভাইজো খালে কাঁকড়া ধরার সময় দস্যুরা তাদের তিনটি নৌকা আটকে ফেলে এবং চারজনকে জিম্মি করে। পরে জানায়, জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা দিলে ছাড়া পাওয়া যাবে। রোববার ভোরে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের পর দস্যুরা হাসান শেখকে একটি নৌকায় তুলে দেয়। সকাল ৯টার দিকে তিনি বাড়ি পৌঁছান।
শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাসেম মোরেল বলেন, সুন্দরবনে দস্যুতা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ভেটখালী ও মরগাং এলাকার কয়েকজন জেলে সম্প্রতি আঠারবেকি এলাকা থেকে অপহৃত হয়েছেন স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন তথ্য পাচ্ছি।
এ বিষয়ে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা হক বলেন, জেলেরা আমাদের কিছুই জানায় না। মহাজন বা পরিবারের লোকজন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনে পরে আমরা খবর পাই। দুর্গম এলাকায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালানো কঠিন। তবে দস্যু দমনে একটি স্মার্ট প্যাট্রোল দল ও আরও দুটি বিশেষ টিম মাঠে কাজ করছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে অপহৃতদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
মন্তব্য করুন