লক্ষ্মীপুরে চোর অপবাদ দিয়ে স্কুলশিক্ষক আক্তার হোসেন বাবুকে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে পেটানোর ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে তাদের লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তারা হলো শহীদ আলম, সাইমন হোসেন ও তার ভাই শ্রাবণ।
গ্রেপ্তার শহীদ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আবদুল মান্নানের ছেলে, সাইমন ও শ্রাবণ একই এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে ভুক্তভোগী আক্তারের ভাই মাসুদুর রহমান মাসুদ বাদী হয়ে সুমন ওরফে পেঁচা সুমনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতেই পৌর শহরের সমসেরাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল রাতে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আইয়ুব আলীর পুল এলাকায় শিক্ষক আক্তারের ওপর বর্বর এ নির্যাতন চালানো হয়। তিনি সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন। আক্তার লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের লাহারকান্দি এলাকার মৃত লকিয়ত উল্যাহর ছেলে ও ঢাকার ক্যামব্রিজ স্কলারর্স স্কুলের শিক্ষক।
আক্তারের পরিবার সূত্র জানায়, ঈদের ছুটিতে আক্তার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর আইয়ুব আলীর পুল এলাকায় তিনি ছোট ভাই মাসুদের বাড়িতে দাওয়াতে যান। সেখান থেকে আসার পথে পেঁচা সুমন, সাইমন হোসেন, অটোরিকশা চালক আলাউদ্দিন আলো, মমিন উল্যাহ ও শ্রাবণসহ কয়েকজন তাকে মলম পার্টি অপবাদ দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে ফেলে। একপর্যায়ে তার কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে জনসম্মুখে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তারা।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, শিক্ষককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারনামীয় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন