সূর্যোদয় থেকেই তেজোদীপ্ততা শুরু হয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তাপদাহে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল জনজীবনে। শুধু তাই নয়, রাতেও ভ্যাপসা গরমে হাঁপিয়ে উঠছেন উপজেলার মানুষ।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ৪টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিকে প্রচণ্ড গরমে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।
সরেজমিনে শ্রীমঙ্গল শহরের কালিঘাট রোড রিকশাস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন, হবিগঞ্জ রোডের রিকশা স্ট্যান্ড, ভাড়াউড়া চা বাগান, সদর ইউনিয়ের হাইল হাওর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গরমের মধ্যেও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষেরা জীবিকার সন্ধানে যার যার পেশাগত কাজে ব্যস্ত।
কালিঘাট রোডের রিকশাচালক রুমেল হোসেন বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র একটি ট্রিপ দিয়েছি, প্রচণ্ড গরম আর রোদে যাত্রী নিয়ে দূরে কোথাও যেতে পারছি না। ঘামে পুরো শরীর ভিজে অবস্থা খারাপ, আর রোদের তাপ সহ্যের বাইরে।
ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিক দয়াল বুনার্জি বলেন, আজকে গরম বেশি। রোদ আর গরমে বাগানে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তবু পেটের ক্ষুধা নিবারণে কাজ করতে হচ্ছে।
হবিগঞ্জ রোডে দেখা হয় ভ্যানচালক আলীর বলেন, গরম আর রোদে গলা-বুক শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘসময় ভ্যান চালাতে পারছি না।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, দুর্বিষহ গরমে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে মানুষজন ভিড় করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই ডায়রিয়া, পানিশূন্যতা ও গরমের কারণে অসুস্থ হয়েছেন।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৬টায় শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে, শ্রীমঙ্গলেও দুয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন