গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র জায়েদা খাতুনের প্রায় ৩০০ জন কর্মী-সমর্থক এখনও বিভিন্ন জায়গায় আটক বলে জানিয়েছেন তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ৭০০ জনের মুক্তি মিলেছে।
শনিবার (১০ জুন) সকালে নগরের ছয়দানা এলাকার নিজ বাসভবন প্রাঙ্গণে নগরের পূবাইল ও কাউলতিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ও সমবেত লোকজনের উদ্দেশে এসব কথা বলেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর।
বিজয়ী মেয়র জায়েদা খাতুনের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই ভোটটা আনন্দের ছিল না, কষ্টের ছিল। একটা আদর্শের জায়গায় ছিল। আপন মানুষ কিভাবে পর হয়ে যায়, তা এই সিটি নির্বাচন দেখলেই আপনারা বুঝবেন। মিথ্যা কিভাবে সত্য হয়, আর সত্য কিভাবে ধ্বংস করে দেয়, তা এই গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই শহরের ১২ লাখ মানুষকে যারা মানুষ মনে করেনি, যারা মনে করেছিল সিল মেরে ক্ষমতায় বসে মানুষকে চুষে খাবে, তাদের বিরুদ্ধে এই নির্বাচন একটা প্রতিবাদ হয়েছে।
এই শহর আপনাদের আমাদের সকলের শহর জানিয়ে তিনি বলেন, যারা আমাদের লোকদেরকে ধরিয়েছে, হয়রানি করেছে, গ্রেপ্তার করিয়েছে বা আমাদের লোকদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছে সেই সব নেতাদের ছাড় দেওয়া যাবে না। কারণ শহরের মালিক জনগণ, পুলিশ নয়। লোকদের ধরে গাড়ি পোড়ার মামলা দিবে, বিস্ফোরক মামলা দিবে, এটা কোন সভ্য সমাজে হয় না। যারা এসব করিয়েছে তাদের কোনোভাবে ছাড় দেয়া যাবে না। অপরাধীদের ছাড় দিলে ভবিষ্যত বংশধররা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মাস্তান, মিথ্যাবাদী, প্রতারক, ভণ্ড রাজনৈতিক থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। আমরা মানুষকেও মুক্ত করে দেব।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, আমাদের কিছু লোক এখনো জেলখানায় রয়েছে। আমি মনে করি এই সপ্তাহে তারা মুক্ত হয়ে যাবে। আমাদের প্রায় পাঁচ হাজারের মতো মানুষকে ২৫ তারিখের ভোট পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত চার হাজার ৭০০ জনের মতো মুক্ত হয়েছে। এখনো ৩০০ জনের মতো আটক আছে। তাদেরকে আগামী সপ্তাহের মধ্যে মুক্ত করবো। আমরা বিজয় মিছিল করিনি। আমাদের লোকজনকে জেলে রেখে আমরা যদি বিজয় মিছিল করি তাহলে তারা কষ্ট পাবে। এ ছাড়া আমরা বিজয় মিছিল করলে আবার অনেকে লজ্জিত হবে। লজ্জায় ফেলতে চাইনি। আমরা সমাজের সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। তবে যারা বাটপার, ধোঁকাবাজ, ক্ষতিকারক তাদেরকে দরকার নেই।
সাবেক মেয়র বলেন, আপনারা বিশ্বাস করে আমার মাকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। আপনাদের যা প্রয়োজন মায়ের সঙ্গে মিলে পরামর্শ করে সেগুলোর সমাধান করে দেবো।
মন্তব্য করুন