কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এদের মাঝে ঘটনাস্থলে দু’জন আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও দু’জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুজন নারী আর দুজন পুরুষ।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওয়ের খোদাইবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও চারজন।
নিহতরা হলেন- চট্টগ্রামের বাঁশখালীর রায়ছড়া ইউনিয়নের ইলশা এলাকার মনির আহমেদের স্ত্রী হাফসা বেগম (৫৮), একই এলাকার গোলাম সোবহানের ছেলে দুলা মিয়া (৬৫)। তারা ঘটনাস্থলে মারা যান। আর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাঁশখালী উপজেলার বাঘমারা এলাকার রফিক আহমেদ (৭০), অপর নিহত নারীর নাম জানাতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ।
হতাহতরা চোখের চিকিৎসা করাতে গত শুক্রবার কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র।
চকরিয়া মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বরত ইনচার্জ এসআই মো. মোজাম্মেল হক জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওর খোদাইবাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দু'নারী-পুরুষ মারা যান। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। তারা মরদেহ উদ্ধার ও দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো জব্দ করে মালুমঘাট হাইওয়ে থানায় নিয়ে এসেছে।
কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসা সহায়ক কর্মকর্তা নেছার আহমেদ জানান, বাঁশখালীর ২৬ জন রোগী চোখের চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। শুনেছি পথিমধ্যে ঈদগাঁও এলাকায় তারা দুর্ঘটনায় কবলিত হয়েছেন। খবর পেয়েছি চারজন মারা গেছেন। আহতও হয়েছেন বেশ কয়জন। কিন্তু কারা মারা গেছেন তা নিশ্চিত নই। আমাদের (চক্ষু হাসপাতালের) একটি টিম হতাহতের বিষয় নিয়ে কাজ করছে। তারাই সবিশেষ জানাবে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ঈদগাঁওতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ছয় নারী-পুরুষকে দুপুর ১টার পর হতে পৃথক সময়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। এদের মাঝে এক নারী ও এক পুরুষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা গেছেন। নিহতের মাঝে পুরুষটির নাম পাওয়া গেলেও বৃদ্ধা নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। স্পটে মারা যাওয়াদের মরদেহ সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে হাসপাতালে আনা হয়নি।
ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের দু'পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে গিয়ে যান ও জন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কাজ করে। ঘটনাস্থলে দু’জন মারা যান। আরও কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জেনেছি। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পুলিশকে সহযোগিতা দেন স্থানীয়রাও।
মন্তব্য করুন