স্ত্রীর ওপর ক্ষোভ মেটাতে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোর শ্যালককে বিষপান করিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার (১ মে) রাতে ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুত্যু হয় শ্যালকের।
এ ঘটনার পর দুলাভাই ও তার পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না গ্রামের কাচারিপাড়ায়।
নিহত শ্যালকের নাম সাগর হোসেন। সে ওই গ্রামের ভ্যান চালক আমিরুল ইসলামের ছেলে। অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম রাধানগর ঘোপপাড়া গ্রামের আজিজুলের ছেলে।
স্থানীয় সাগান্না ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান এ খবর নিশ্চত করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে রবিউল তার স্ত্রী আলেয়া বেগমকে বাপের বাড়ি ফেলে রাখে। এ নিয়ে দুই পরিবারে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে রবিউল আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে বসলে প্রথম স্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে তীব্র মনোমালিন্য ঘটে।
তিনি আরও জানান, রবিউল প্রথম স্ত্রীর পরিবারকে শায়েস্তা করতে সুযোগ খুঁজতে থাকে। গত ১৯ এপ্রিল ঘুরতে যাওয়ার নাম করে শ্যালক সাগর হোসেনকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় সে। তাকে স্থানীয় আমেরচারা বাজারে নিয়ে কোমল পানীয় স্পিডের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে সেবন করতে দেয়। কিশোর সাগর দুলাভাইয়ের দেওয়া স্পিড পান করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে ঝিনাইদহ ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যার দিকে মারা যায় সাগর। মৃত্যুর আগে সাগর পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দিয়ে গেছে বলে সাগরের মা কোহিনুর বেগম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহিন উদ্দীন জানান, এমন অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে ও মৃত্যুকালীন জবানবন্দির কোনো তথ্য প্রমাণ থাকলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে সাগরের মৃতদেহ কাচারিপাড়ায় দাফন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সাগরের পিতা আমিরুল ইসলাম ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন