রমজান মাসে বেগুনের দাম কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল মাত্র ২ টাকা কেজি এখন সেই বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। যেই লড়ি ও হাজারি বেগুনের দাম একমাস আগেও প্রতি কেজি ২ থেকে ৩ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এখন সেই বেগুন পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। তারপরও হাসি নেই কৃষকের মুখে।
কৃষিপ্রধান এলাকা জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে বুধবার সবজির পাইকারি বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। আশপাশের হাটগুলোতেও প্রায় অভিন্ন চিত্র। কৃষকরা জানান তারা ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করতে পারলেও ফলন কম বেগুনের।
জানা গেছে, প্রতি বছর এই মৌসুমে বেগুনের দাম কম হয় কিন্তু অব্যহত তীব্র তাপমাত্রা ও খরার কারণে বেগুনসহ অন্যান্য সবজির গাছে যেমন নতুন করে ফুল আসছে না তেমনি পোকার আক্রমন ও তীব্র তাপপ্রবাহে মরে যাচ্ছে বেগুন গাছ। এতে উৎপাদন কমে গেছে কৃষকদের। বাজারে বেগুনের চাহিদা বেশি থাকায় দামও বেশি। অথচ রমজান মাসে প্রতি কেজি ২ টাকা পাইকারি বিক্রি হয়েছে। দাম বেশি হলেও উৎপাদন কমে গেছে। খরার কারণে বিঘা প্রতি মাত্র ৪/৫ মন করে বেগুন পাওয়া যাচ্ছে। এতে লাভ কমে গেছে চাষিদের।
বেগুন গাছসহ অন্যান্য সবজির গাছে নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি দেওয়ার আহ্বান জানান উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ইমরান হোসেন।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রতি বছর বেগুন চাষ করে বেশ লাভবান হন তারা। কিন্তু এ বছর খড়ার কারণে বেশিরভাগ চাষিদেরই মাথায় হাত।
মন্তব্য করুন