শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চোরের ভয়ে পুলিশের মোটরসাইকেলে হাতকড়া

মোটরসাইকেলে ‘হ্যান্ডকাপ’। ছবি : সংগৃহীত
মোটরসাইকেলে ‘হ্যান্ডকাপ’। ছবি : সংগৃহীত

মোটরসাইকেল চালকদের জন্য বরাবরই এক আতঙ্কের নাম চোর। নিজের শখের বাইকটি রক্ষায় প্রত্যেকেই নেন আলাদা সুরক্ষা ব্যবস্থা। কেউ ব্যবহার করে হাইড্রোলিক লক, আবার অনেকে ব্যবহার করে থাকেন জিপিএস ট্র্যাকার। তবে এবার চোরদের হাত থেকে মোটরসাইকেলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তালা হিসেবে আসামিদের হাতকড়া ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুরের পালং থানার এএসআই মাসুদ রানার বিরুদ্ধে।

নিজের শখের মোটরসাইকেল রক্ষায় বেছে নিয়েছেন অভিনব এ পন্থা। এরইমধ্যে এ ঘটনার বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ভাইরাল হওয়া ছবিতে হাতকড়া দিয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় পুলিশের মোটরসাইকেলটি দেখতে পাওয়া যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোটরসাইকেলটির মালিক পালং মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মাসুদ রানা। তিনি শরীয়তপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকার একটি বাসাবাড়িতে ভাড়া থাকেন। বর্তমানে ওই এলাকার চলাচলের একমাত্র সড়কটিতে সংস্কারকাজ চলছে। এতে সড়কে গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই অগ্যতা ওই পুলিশ সদস্য বাসার অদূরে মোটরসাইকেলটি রেখে বাসায় যাতায়াত করেন। এদিকে চুরি হওয়ার আশংকায় গাড়িটির চাকায় আসামির হ্যান্ডকাফ ব্যবহার করেন তিনি। তবে তার মোটরসাইকেলের পেছনে কোনো নম্বর প্লেট নেই। শুধু লেখা রয়েছে পুলিশ।

খান মুহাম্মদ শিহান নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী মোটরসাইকেলের চাকায় হ্যান্ডকাপ লাগানো দুটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন,`হাতকড়া ঝুলছে মোটরসাইকেলের হাইড্রোলিক প্লেটে।'

আর সেই পোস্টে বেশ কয়েকজন মজার মজার কমেন্টও করেছেন। কামরুজ্জামান পলাশ খান নামের এক ব্যক্তি সেখানে কমেন্ট করেছেন, মোটরসাইকেল গ্রেপ্তার। কাওসার মাহমুদ শান্ত নামের আরেক ব্যক্তি কমেন্ট করেছেন, মোটরসাইকেল যখন হত্যা মামলার আসামি।

মোটরসাইকেলে হ্যান্ডকাফ লাগানোর বিষয়ে আইন কী বলে? জানতে চাইলে জেলা জজ আদালতের অ্যাডভোকেট সহিদুল ইসলাম সজীব বলেন, বেঙ্গল পুলিশ রেগুলেশন, প্রবিধান ৩৩০ এ হাতকড়ার ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে, হাতকড়া সব সময় ব্যবহার উপযোগী রাখতে হবে। কোনো পুলিশ সদস্য পেশাগত কাজ ব্যতীত ব্যক্তিগত কাজে এটি ব্যবহার করতে পারবেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদস্য মাসুদ রানা বলেন, মাঝেমধ্যেই অনেকের মোটরসাইকেল তালা ভেঙে চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। আমার বাসার সামনে কাজ চলমান থাকায় মোটরসাইকেলটি বাসায় নিতে পারি না। তাই চুরি এড়াতে মোটরসাইকেলটি হাতকড়া দিয়ে তালা মেরে রাখি।

বিষয়টি জানতে জেলা সুপার মো. মাহবুবুল আলমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। যদি এ রকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকে সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাবি শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

বিল বকেয়া থাকায় রেল কার্যালয়ের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে কর ফাঁকি বন্ধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার

চেয়ারম্যান এলিমের অনুসারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি

বিএনপির ২ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি

শেখ ও বাদশারাও আমাকে বিয়ে করতে চায় : মিষ্টি জান্নাত

বিএনপির ওপর নানা কায়দায় নিপীড়ন করছে সরকার : ফখরুল 

সারা দেশে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু

চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে দিশেহারা দেশের অর্ধেক মানুষ

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ প্রতিরোধে করণীয় কী

১০

মূকাভিনয় করতে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছেন ঢাবির সায়েম

১১

যুবলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কোপাল দুর্বৃত্তরা

১২

পেনশনসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি বুয়েট শিক্ষকদের

১৩

কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

১৪

সরকার ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা উন্নত করতে কাজ করছে : পরিবেশমন্ত্রী 

১৫

আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি দেবে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল

১৬

১৩০ টাকা ফেরত চাওয়ায় পাওনাদারকে মারধর

১৭

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট

১৮

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে

১৯

বোমা আতঙ্কে ভূমি অফিসের কার্যক্রম বন্ধ

২০
X