টাকা দিলেই মিলবে উপবৃত্তি। শিক্ষার্থীদের এমন প্রলোভন দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কলাপাড়ার নীলগঞ্জের আক্কেলপুর নুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট আবদুল মান্নারের বিরুদ্ধে।
এর কয়েকদিন আগে একই উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুর সালেহিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে মাদ্রাসা অধিদপ্তর তার এমপিও বন্ধ করে দিয়েছিল।
সরেজমিনে জানা যায়, এলাকাবাসী জানান, শুধু অর্থ আত্মসাতই নয়, নিয়মিত মাদ্রাসায় না গিয়ে বাসায় বসে অফিস করার অভিযোগ করেন সুপারের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর কাছে তিনি এক আতংকের নাম। যাকে তাকে তিনি মামলার ভয় দেখিয়ে দাপটের সঙ্গে চলাচল করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, ৬শ টাকা দিলে সবাইকে উপবৃত্তি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ আদায় করেছেন এই শিক্ষক। এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বিগত দিনে ঘুষ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের নাম তালিকায় আসেনি। পরে টাকা ফেরত চাইলে ফেরত দেননি অভিযুক্ত শিক্ষক মান্নান।
৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সোলায়মান বলেন, হুজুর টাকা চাইছে তাই দিয়েছি।
মাদ্রাসার সহসুপার মাও. আবুল কালাম বলেন, অফিস মেইনটেইন করে আমাদের সুপার। তিনি বলতে পারবেন কেন তিনি টাকা নিচ্ছেন। তবে অফিসের খরচ বাবদ টাকা লাগে এ কথা বলে টাকা নিয়েছেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুপার আ. মান্নান জানান, মাদ্রাসার বেতন হিসেবে ৬শ টাকা নিয়েছেন এর চেয়ে বেশি টাকা নেওয়া হয়নি।
ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন