ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারীতে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাত্র ২০ মিনিটের ঝড়ে গাছপালা ও কাঁচা-পাকা ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে দুই শতাধিক গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত আনে। আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুরাইচ ইউনিয়নের ফলিয়া, বারাংকুলা, জয়দেবপুর পানিপাড়া, হেলেঞ্চা, টিকের পাড়া, টগরবন্দ ইউনিয়নের চরডাঙ্গা চাপুলিয়া, শিকিপাড়া, চর আজমপুরে এবং বোয়ালমারী উপজেলার সুর্যোগ, ময়েনদিয়া, কাটাগড়, ছত্রকান্দা, সহস্রাইল, মোড়া, সুতালীয়া, তামারহাজি, বড়গাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে অসংখ্য ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
ঝড়ে আহত ফলিয়া গ্রামের ফারজানা বেগম কালবেলাকে বলেন, আছরের আগে হঠাৎ করে প্রচণ্ড বাতাসে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়ে এতে আমাদের ঘরবাড়ি গাছপালা উপড়ে পড়ে। ঘরের উপর গাছ পড়ে ঘর ভেঙ্গে গেছে।" টিনের আঘাতে হাত কেটে তিনি আহত হন।
শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমেদ বলেন, ঝড়ে আমার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে সড়কে গাছ পড়ায় বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা সড়ক এক ঘণ্টা ধরে যানচলাচল বন্ধ ছিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ রাত হওয়ায় নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি, পরবর্তীতে জানানো যাবে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, মাত্র ২০ মিনিটের ঝড়ে বাড়িঘর, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বুড়াইচ ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামের ক্ষতি হয়েছে।
বোয়ালমারী পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোরশেদুর রহিম বলেন, ঝড়ের কারণে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ও তারের ক্ষতি হয়েছে। আলফাডাঙ্গারও ৩৩ কেবি মূল লাইনে সমস্যা। যার কারণে দুই উপজেলাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। মেরামতের কাজ চলছে। রাতের মধ্যে লাইন ঠিক হলে সকাল নাগাদ বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হতে পারে।
মন্তব্য করুন