কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নড়বড়ে সেতু, ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

ভাঙা সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা
ভাঙা সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

নড়বড়ে সেতু। তার ওপর হাঁটার জন্য বিছানো রয়েছে কাঠের চাটাই। সে চাটাইও বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে। এর মধ্য দিয়েই লোকজন হেঁটে বা সাইকেল নিয়ে পার হচ্ছেন। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন গ্রামের মানুষসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

পিরোজপুরের কাউখালীতে আমরাজুরী ইউনিয়নের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জব্দকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দত্তেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির অবস্থান।

বিকল্প রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পেরিয়ে যাতায়াত করছে।

এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুগুলো সংস্কার না করায় দিন দিন সেতুগুলো ভেঙে পড়ে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনাসহ জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে।

দত্তেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারিয়া আক্তার বলেন, আমি একা সেতু পেরিয়ে যেতে ভয় পাই, আমার বাবা-মা আমাকে বিদ্যালয় দিয়ে আসে।

জব্দকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সিকদার বলেন, আমি দীর্ঘদিন এই বিদ্যালয়ে আছি। সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার হচ্ছে। অনেক সময় আমাদের নিজেদেরকে ছাত্রছাত্রীদের সাঁকো পারাপারে সহযোগিতা করতে হয়।

গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গায়ত্রী মুখোপাধ্যায় বলেন, জোয়ারের সময় খালে পানি বেশি আসায় আমরা ছাত্রছাত্রী নিয়ে টেনশনে থাকি। তখন সেতু পারাপারে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। অভিভাবক অনিল হালদার ও আব্দুল জব্বার বলেন, আমাদের কোমলমতি ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় লাগছে। কীভাবে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে বিদ্যালয় যাবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের সামনের সাঁকোগুলো সংস্কার করা দরকার। কারণ অনেক ছাত্রছাত্রীরা সাঁতার জানে না। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

আমরাজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলোর তালিকা তৈরি করে উপজেলা পরিষদের সমন্বয়ে মিটিংয়ে উপস্থাপন করব এবং ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলোর তালিকা পেলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হংকংয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত অন্তত ৯৪

শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকায় তাপমাত্রা নেমে ১৮ ডিগ্রিতে

ভূমিকম্পের ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ মধুপুর ফল্ট, শঙ্কিত টাঙ্গাইলবাসী

২৮ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

ওয়াশিংটনে গুলিবর্ষণ, নিহত ন্যাশনাল গার্ড সদস্য

আজ টানা ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

পাকিস্তানিদের ভিসা দিচ্ছে না আমিরাত, কিন্তু কেন?

বিএনপি প্রার্থীর বহরে থাকা গাড়িতে আগুন, দগ্ধ ৪

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২৮ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১০

চলন্ত বাসের খোলা লকারের ধাক্কায় যুবক নিহত

১১

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ

১২

পাবনায় নির্বাচনী প্রচারণায় জামায়াতের হামলার তীব্র নিন্দা বিএনপির

১৩

পুষ্টিগুণে ভরপুর রোজেল পানীয়

১৪

প্রশাসন ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক : ডিসি অন্নপূর্ণা

১৫

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা

১৬

আ.লীগ নেতা মুকুল গ্রেপ্তার

১৭

বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার পথে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

১৮

দলের প্রশ্নে আমরা সবাই এক : নজরুল ইসলাম আজাদ

১৯

নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে ৬০ লাখ টাকা মু‌ক্তিপণ দাবি

২০
X