ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৪, ০১:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নবজাতককে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, পেলেন জিপিএ ৫

নবজাতক শিশুদের কোলে নিয়ে এসএসসিতে (ভোকেশনাল) অংশ নেওয়া দুই শিক্ষার্থী। ছবি : কালবেলা
নবজাতক শিশুদের কোলে নিয়ে এসএসসিতে (ভোকেশনাল) অংশ নেওয়া দুই শিক্ষার্থী। ছবি : কালবেলা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ১৬ দিন ও ২ মাসের নবজাতক নিয়ে এসএসসি (ভোকেশনাল) ২০২৪ পরীক্ষায় অংশ নেয় শান্তনা আক্তার স্মৃতি ও মহসিনা আক্তার নামের দুই মা। এতে দুজনের ভালো ফলাফলে খুশি শিক্ষক ও এলাকাবাসী।

রোববার (১২ মে) সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পেলে আনন্দ ধরা দেয় উভয়ের বাড়িতে।

ফলাফলে মহসিনা আক্তার পেয়েছেন জিপিএ ৫ এবং শান্তনা আক্তার স্মৃতি পেয়েছেন ৪.৬১। তাদের এ ফলাফলে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এলাকাবাসী।

নবজাতক শিশুকে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এমন সাফল্যমণ্ডিত ফলাফল করায় শিক্ষকরা সাধুবাদ জানিয়েছেন ওই দুই মা পরীক্ষার্থীকে।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘নবজাতককে বাইরে রেখে পরীক্ষার হলে মা’ শিরোনামে দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ হলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

২ মাস বয়সী শিশুর মা মহসিনা আক্তার আখলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। সে উপজেলার শিবপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা মন্ডলের মেয়ে।

১৬ দিন বয়সী শিশুটির মা শান্তনা আক্তার স্মৃতি ক্ষেতলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। সে পার্শ্ববর্তী কালাই উপজেলার চক গাদুকা গ্রামের সানাউল ইসলামের মেয়ে।

শান্তনা আক্তার স্মৃতি কালবেলাকে বলেন, পরীক্ষার ১৬ দিন আগে আমার বাচ্চা জন্মগ্রহণ করেছে। বাচ্চাকে কেন্দ্রের পাশে আমার বাবার বাড়িতে রেখেই পরীক্ষা দিয়েছিলাম। এমন ফলাফল করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। আমার পরিবারও অনেক খুশি। আমার পড়াশোনা চলমান রাখব ইনশাআল্লাহ।

অপরদিকে মহসিনা আক্তার কালবেলাকে বলেন, ছোট শিশুকে নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া প্রায় অসম্ভব। একদিকে নবজাতক কষ্ট পায় অন্যদিকে সন্তানের চিন্তায় আমিও পরীক্ষায় মন দিতে পারি না। এরপরও যা ফলাফল হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো হয়েছে।

কেন্দ্র সচিব ও ক্ষেতলাল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এমিলি আক্তার বানু কালবেলাকে বলেন, আমার কেন্দ্রে শান্তনা আক্তার স্মৃতি ও মহসিনা আক্তার নামের দুই পরিক্ষার্থী ২ জন শিশু সন্তান নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের একজন জিপিএ ৫ পেয়েছে, আর অন্যজন ৪.৮১। এ রকম প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে এমন ফলাফল সত্যিই প্রশংসনীয়।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার বাবুল কুমার মন্ডল কালবেলাকে বলেন, কেন্দ্র সচিবের মাধ্যমে ঘটনাটি আমি শুনেছিলাম। ১৬ দিন ও দুই মাসের ২ জন শিশুকে রেখেও ২ জন মেয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। ফলাফলের কথা আপনার থেকে শুনলাম। যদিও অনেকে তাদের বাল্যবিবাহ ভাবতে পারে, তবে প্রকৃতপক্ষে তাদের বয়স ১৯ প্লাস। তারা ভোকেশনাল শাখা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এক দিনে তাপমাত্রা কমেছে ৩ ডিগ্রি, বইছে ঠান্ডা বাতাস

আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পড়ল সমুদ্রপাড়ের রিসোর্টে, ভিডিও ভাইরাল

ইতিহাসে আজকের এই দিনের স্মরণীয় ঘটনা

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৪ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে স্বর্ণ, বাজারদর জেনে নিন

গাজায় হামাসের বন্দুকধারীদের টহল

আগামীর রাষ্ট্রকাঠামোর পূর্ণ রূপরেখা ৩১ দফাতেই রয়েছে : কফিল উদ্দিন 

পরিবেশ রক্ষায় ৮০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে : টুকু 

১০

ক্ষমতায় এলে ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান গড়বে বিএনপি : আমিনুল হক

১১

মিসরে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন ট্রাম্প

১২

নেইমারের জন্য এখনও দরজা খোলা রেখেছেন আনচেলত্তি

১৩

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ ও প্রফেশনাল কোর্সের সব পরীক্ষা স্থগিত

১৪

ইতিহাস গড়ে ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট পেল কেপ ভার্দে

১৫

পলিথিনে মোড়ানো শপিং ব্যাগে মিলল নবজাতকের মরদেহ

১৬

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

১৭

কলাবাগানে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

১৮

অবশেষে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সই

১৯

জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ

২০
X