নেই বৃষ্টি, আসছে না উজান থেকেও পানি। বৈশাখের খরতাপে পুড়ে খা খা করছে রত্নাই, স্বর্ণামতি, সতী, ত্রিমোহনীসহ লালমনিরহাটের ৮টি ছোট বড় নদী। এক সময় যেখানে পানির প্রবাহের সঙ্গে মিশে একাকার হতো কৃষি, মৎস্যসহ আর্থিক কর্মসংস্থানের নানা আয়োজন।
পানি না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে মাছের প্রজনন, বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় নানা প্রজাতির মাছ। অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামছে প্রতিনিয়ত। নাব্য সংকটে হারিয়ে গেছে নৌপথগুলোও। আগের মতো দেখা মেলে না নৌকার। হারিয়ে যাচ্ছে ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালির সুরও।
নদী রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের আওতায় ৩টি নদীর ৮৫ কিলোমিটার খননের পাশাপাশি দুই ধার উঁচু করার কথা থাকলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কথাতেই আটকে আছে নদীগুলোর জীবন। আশ্বাস আর হবে হবে করেই পেরিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর।
নদী গবেষক অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদের মতে, ছোট নদীগুলো বড় নদীর প্রাণ। তাই এগুলো রক্ষা করতে হবে। এ ছাড়াও নদীকেন্দ্রীক অর্থনীতি সুরক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলছেন, এরইমধ্যে নদীর সীমানা নির্ধারণে কাজ চলছে। ড্রেজিং শেষ হলে প্রাণ ফিরে পাবে নদীগুলো।
তবে জেলা প্রশাসক ও জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, নানা জটিলতা থাকলেও নদীগুলোর সীমানা নির্ধারণের কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া প্রচুর পলিমাটি ও বালি পড়ে ভরাট হওয়া নদীগুলো খনন ও প্রয়োজনীয় শাসনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, এক সময়ের খরস্রোতা এ নদীগুলো এখন মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। দখল-দূষণ গ্রাস করেছে নদীগুলোকে। খননের মাধ্যমে আবারও নদীগুলোর নাব্য ফিরিয়ে আনার দাবি তাদের।
মন্তব্য করুন