রাজশাহীতে মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় দুই পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হামলাকারী যুবককে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে নগরীর বোয়ালিয়া থানার পঞ্চবটি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন- কনস্টেবল শামীম হোসেন ও শহিদুল ইসলাম। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আটক ওই যুবকের নাম মো. সোহান। তিনি রাজশাহীর কাটাখালী থানার শ্যামপুর এলাকার বাসিন্দা। সোহান পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইকরামুল হক বলেন, একটি টিম নিয়ে মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা করছিলাম। কনস্টেবল শামীম সে সময় সোহানের মোটরসাইকেল থামানোর জন্য সংকেত দেন। সোহান মোটরসাইকেল থামিয়েই প্রশ্ন করেন, তার হেলমেট আছে, কাগজপত্রও আছে। তারপরেও কেন তাকে থামানো হলো।
কনস্টেবল শামীম বলেন, কাগজপত্র থাকলে স্যারকে দেখান। এ সময় শামীমের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন সোহান। কনস্টেবল শামীম তখন মোটরসাইকেল থেকে চাবি খুলে নেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে দায়িত্বরত ওই পুলিশ সদস্যকে ঘুষি মারেন সোহান। তখন আরেক কনস্টেবল শহিদুল তাকে রক্ষায় এ032গিয়ে আসলে তাকেও একটি কাঠ দিয়ে মারতে শুরু করেন সোহান। এতে শহিদুলের মুখ রক্তাক্ত হয়।
রাজশাহী মেট্রোপলিন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. জামিরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ঘটনার সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ওই যুবককে আটক করে বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে যায়। বর্তমানে সে থানা হেফাজতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ওই যুবকের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যজে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন