কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বেড়েছে জোয়ারের পানি, দুর্বল বেড়িবাঁধ নিয়ে উৎকণ্ঠায় উপকূলবাসী

দুর্বল বেড়িবাঁধ মাটি দিয়ে শক্ত করতে ব্যস্ত উপকূলবাসী। ছবি : কালবেলা
দুর্বল বেড়িবাঁধ মাটি দিয়ে শক্ত করতে ব্যস্ত উপকূলবাসী। ছবি : কালবেলা

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার কয়রায় সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। বেলা যত বাড়ছে সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতিবেগও বেড়ে চলেছে। স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্বল বেড়িবাঁধ নিয়ে উৎকণ্ঠায় কয়রার মানুষ। ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে শুরু করেছে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশের ৪টি সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতিপ্রবল বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় রিমালের ঝুঁকি এড়াতে খুলনার কয়রা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়টি মোকাবিলা করার জন্য উপজেলার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে কর্মস্থল ত্যাগ না করতে বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। ৩২ হাজার ৫শ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে এসব কেন্দ্রগুলোতে।

৫নং কয়রা গ্রামের আছাদুল হক বলেন, অন্য সময়ের চেয়ে জোয়ারের পানি ৩-৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। বেলা যত গড়াচ্ছে বাতাসের গতিবেগ তত বাড়ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. মামুনার রশীদ বলেন- ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস বা যে কোনো দুর্যোগের সময় মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য ১১৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের শুকনো খাবার, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ যেন স্বাভাবিক থাকে, সে জন্য উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জরুরি সেবা দিতে ৭ ইউনিয়নের জন্য ৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া সেন্ট্রাল হাসপাতালের জন্য ১টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি মাইকিংসহ রয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির জন্য সিপিপিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম তারিক-উজ-জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি ভবনগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গৃহপালিত প্রাণীর জন্যও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্যোগের খবর আদান-প্রদানের জন্য উপজেলা পরিষদে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে সতর্কতা জারি করে সবাইকে নিরাপদ স্থানে অবস্থানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে স্পটগুলো ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে জিও ব্যাগ, বস্তা দিয়ে কাজ চলমান আছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড় রিমাল
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইতিহাসে এই দিনে কী ঘটেছিল?

অস্ট্রেলিয়ায় উদ্ভাবিত বিশ্বের প্রথম টাইটানিয়াম হার্ট মানবদেহে প্রতিস্থাপন

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

শক্তিশালী পাসপোর্টে শীর্ষে সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশের অবস্থান কত?

২৭ জুলাই : নামাজের সময়সূচি

যে ভুলে মরতে পারে টবের গাছ

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদে ২৪ বছর ধরে চাকরি, অতঃপর..

ঝিনাইদহে ২৪ বছর ধরে ক্রিকেট ব্যাট বানাচ্ছেন ৩ ভাই

জামালপুরে ১০ মামলায় আসামি ২৩০৫, গ্রেপ্তার ৩২

আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড়

১০

যাত্রী পারাপার কমেছে আখাউড়া স্থলবন্দরে

১১

সিলেটে ৭ চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭

১২

‘সাংবা‌দি‌কের ওপর হামলা নিঃস‌ন্দে‌হে ছাত্র‌দের কাজ নয়’

১৩

রাজশাহীতে সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার ১১৬৩

১৪

ছাত্রলীগের রাজনীতি ছাড়ার ঘটনা নিয়ে সারজিসের ফেসবুক স্ট্যাটাস

১৫

তিন সমন্বয়ককে আটকের কারণ জানালেন ডিবিপ্রধান

১৬

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আল জাজিরাকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার

১৭

পাকিস্তানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

১৮

ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা-মারধর

১৯

নাসিক কাউন্সিলর ইসরাফিল প্রধান গ্রেপ্তার

২০
X