ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে শনিবার (২৫ মে) মধ্যরাত থেকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। একইসঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বাতাস বইছে। অনেক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ছে। নদ-নদীতে পানি বাড়ছে।
এরইমধ্যে জোয়ারের পানিতে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের দেবপুর ও নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গৈয়াতলা গ্রামের বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে।
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গৈয়াতলা গ্রামে সরেজমিনে পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখা যায়, মূল বেড়িবাঁধের তিন ভাগের দুই ভাগই বিলীন হয়ে গেছে। রাতের জোয়ারে পানির চাপ বেশি হলেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি লোকালয় ঢুকে পড়লে ব্যাপক প্রাণহানি হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আরিফ বিল্লাহ জয় বলেন, এক ধরনের যুদ্ধ নিয়েই বেঁচে থাকি আমরা। বন্যার সময় আমাদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। আমরা ত্রাণ চাই না। শক্ত-পোক্ত একটা বাঁধ চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম বলেন, এখানকার বাসিন্দারা বহু বছর ধরে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। সেটা আরও বেড়ে যায় যখন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। আমরা দ্রুত বেড়িবাঁধ রক্ষা করার দাবি জানাচ্ছি।
পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, কলাপাড়ায় প্রায় তিন কিমি বেড়িবাঁধ মেরামত করতে হবে। অধিকাংশ জায়গা মেরামতের পথে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গৈয়াতলার বেড়িবাঁধটি ঝুঁকিতে আছে। আমরা বিষয়টি নজরে রাখছি। শিগগিরই বেড়িবাঁধ রক্ষার কাজ শুরু হবে।
মন্তব্য করুন