ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ঘূর্ণিঝড় রিমাল

ভোলায় নিহত ৩

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ভেঙে যাওয়া ঘর। ছবি : কালবেলা
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ভেঙে যাওয়া ঘর। ছবি : কালবেলা

ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ভোলার ৭ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপরে পড়েছে গাছপালা, বিধ্বস্ত হয়েছে বাড়িঘর, পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের কোটি কোটি টাকার মাছ। ঘর ও গাছচাপা পড়ে প্রাণ গেছে ৩ জনের। বসতঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে অনেক পরিবার।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে জেলার ৬০টি ইউনিয়নকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২৩টি ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এবিএম আকরাম হোসেন জানান, বিভিন্ন স্থানে ৭ হাজার ৬২৩টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আংশিক ৫ হাজার ১৫৮টি ও ২ হাজার ৪৬৫টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবির জানান, জেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন উপজেলায় মোট ৩ হাজার ৭৬ হেক্টর জমির ২৫ হাজার ৮১৫ টন আউশ বীজতলা ও আউশ আবাদসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ৫১ শতাংশ ধান ও বিভিন্ন মৌসুমি ফসল পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৪৮ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভোলা সদর, দৌলতখান ও মনপুরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানের বেড়িবাঁধ আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে। নদীর ঢেউ ও পানির স্রোতে ভেঙে গিয়ে বৃহৎ এলাকা পানিতে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ওই এলাকাগুলোতে জরুরি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হলেও ৪ বছর আগে ব্লক স্থাপনের টেন্ডারের কাজ আজও করা হয়নি।

এ বিষয়ে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, আপাতত বেড়িবাঁধ ভাঙার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে ওই এলাকার ব্লকের কাজটি চলমান রয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের জুন মাসে কাজটি সম্পন্ন হবে বলে তিনি জানান।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, জেলায় প্রায় ৯৫ হেক্টর জমিতে থাকা ৯৫০টি মাছের ঘের ও ৬০০ হেক্টর জমিতে থাকা ৫ হাজার ৮৬০টি পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। যার মূল্য ৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। পানিতে ভেসে গেছে এবং প্রায় দুই কোটি টাকার অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়েছে।

এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন ও লালমোহনে ঘরচাপায় ও গাছের চাপায় নিহত হয়েছে ৩ জন। নিহতরা হলেন, দৌলতখান পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মনিরের মেয়ে মাইশা (৪), বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর (৫০) এবং ঘরের নিচে চাপা পড়ে লালমোহন উপজেলার চরউমেদ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মনেজা খাতুন (৫০)।

ভোলা ওয়েস্টার্ন পাওয়ার প্লান্ট ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। অনেক স্থানে গাছ পড়ে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিভ্রাট ঘটেছে। সচল করতে আমরা কাজ করছি। তবে শহরের কিছু কিছু এলাকায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড় রিমাল
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সরবরাহ সচল হওয়ায় স্বস্তি ফিরছে ব্রাহ্মণপাড়ার সবজি বাজারে

আজ কোন এলাকায় কত ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

রিয়ালের জার্সিতে কবে মাঠে নামছেন এমবাপ্পে?

স্বেচ্ছায় কারাগারে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা

অলিম্পিকে পদকের লড়াই হবে যে ইভেন্টগুলোতে (২৭ জুলাই)

দক্ষিণ আমেরিকা নিয়ে নতুন ছক সৌদির

রাশিয়ার সাবেক উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গ্রেপ্তার

ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে?

মানামার বাতাসে দূষণ সবচেয়ে বেশি, ঢাকার পরিস্থিতি কী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বর্জ্যে দুর্ভোগে ৩ লাখ মানুষ

১০

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

১১

অলিম্পিকে নিষিদ্ধ ছিল যে দেশগুলো

১২

দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

১৩

উদ্বোধনীতে অ্যাথলেটদের চেয়ে বেশি উৎফুল্ল বাংলাদেশের কর্তারা

১৪

কুষ্টিয়ায় নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার

১৫

৬ দিন পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু

১৬

ভেজানো ছোলা খাওয়ার উপকারিতা

১৭

হামলা মামলা ও লাঞ্ছনার শিকার লালমনিরহাটের ৬ সাংবাদিক

১৮

কলেজছাত্রীকে বিবস্ত্র, লজ্জায় আত্মহত্যা

১৯

প্যারিসের আলোয় উদ্ভাসিত অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

২০
X