পটুয়াখালীর বাউফল থানার সামনে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেছে ইজিবাইক শ্রমিকরা। পরে ওসি শোনিত কুমার গায়েন ও ইজিবাইকচালক নেতা মঞ্জুর সঙ্গে চালকদের আলোচনার পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
চালকদের অভিযোগ, প্রতিদিন রাতে পুলিশ টহলের জন্য তাদের ৫-৭টি ইজিবাইক ব্যবহার করা হয়। তবে রাতে পুলিশের সঙ্গে ডিউটি করলেও পুলিশ তাদের কোনো টাকা প্রদান করে না। রাতে ডিউটি করার ফলে পরেরদিনও তারা ভাড়া চালাতে পারে না। এতে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এ ছাড়াও উপজেলার অন্যান্য এলাকার ইজিবাইক রাতে ডিউটি করে না, শুধু শহরের ইজিবাইকগুলো ডিউটি করে এতে তাদের ঘনঘন ডিউটি পড়ে। রোববার বিকেলে পুলিশ হঠাৎ ডিউটির জন্য থানা গেটে ইজিবাইক আটক করতে শুরু করে। প্রায় ৪০টির মতো ইজিবাইক আটক করা হয়। এ সময় একজন ইজিবাইক চালককে পুলিশ চড় থাপ্পড় মেরেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, তাদের পর্যাপ্ত যানবাহন নেই। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে রাতে ইজিবাইক নিয়ে ডিউটি করতে হয়। গত ২১ তারিখ থেকে সিরিয়াল করা ইজিবাইকগুলো ডিউটিতে আসছে না। তাই আজকে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাদের থামান হয়েছে। ডিউটির জন্য টাকা দেওয়ার বরাদ্দ নেই। তবে চুরি ডাকাতি বন্ধে তাদের রাতে ডিউটি করতেই হয়। ইজিবাইক চালককে মারধরের অভিযোগ সত্য নয় বলেও জানায় পুলিশ।
মন্তব্য করুন