কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলা বিরামপুরে বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের ভারতীয় মসলার দাম। কোরবানির ঈদ আর মাত্র ১৪ দিন বাকি। এর মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে ভারতীয় মসলার দাম।
আমদানিকারকরা বলছেন, বিভিন্ন ধরনের মসলা ভারত থেকে আমদানি করা হয়। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতে প্রতিটি মসলার দাম কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে বেড়েছে। ভারত থেকে বেশি মূল্যে আমদানি করতে হচ্ছে বলে এসব মসলার দামও বেড়েছে। তাই তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কোরবানির ঈদের পর মসলার দাম কমে আসবে বলে তাদের আশা। রোববার (২ জুন) বিরামপুর নতুন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জিরার দাম কয়েকদিন আগে ছিল ৬৮০ টাকা বর্তমানে ১২০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা। কালো এলাচ ৩ হাজার ২০০ হাজার থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা, সাদা এলাচ ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকা, দারুচিনি ৪৪০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, বচ ৮২০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা, কালো ফল ২ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, গোল মরিচ ৭৬০ থেকে ৮৬০ টাকা, আদা ২০০ থেকে ২৭০ টাকা, রসুন ২৪০ থেকে ২৭০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের আয়ড়া মোড়ের খুচরা মসলা বিক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, আমি আয়ড়া মোড় বাজারে খুচরা মসলা বিক্রি করি। ঈদ উপলক্ষে আজ পাইকারি মসলা কিনতে এসে দেখি সব মশলার দাম বেড়েছে। মসলার দাম আরও বৃদ্ধি হতে পারে বলে আগেভাগে অনেকে বাজারে এসেছেন মসলা কিনতে। ঈদের বাজার শুরু না হলেও এখনই সব মসলার দাম বাড়তে শুরু করেছে। পাইকারি মসলা বিক্রেতা সাবদার আলী মিলন বলেন, আগের তুলনায় এবার কোরবানি ঈদে মসলার বাজার একটু ওঠানামা করছে। তবে ঈদ যত কাছে আসতেছে তত দাম বাড়ছে।
আরেক মসলা বিক্রেতা আনিছুর রহমান বলেন, কোরবানি ঈদের আগে জিরাসহ সবধরনের মসলার চাহিদা বাড়ে। এর ফলে দামও বৃদ্ধি পায়। আর জিরা ও এলাচ ভারত থেকে হিলিতে আমদানি কর হয়। আমরা যারা স্থানীয় বাজারের বিক্রেতারা আমদানিকারকদের কাছ থেকে কিনে তা বিক্রি করি। সামনে ঈদ তাই কিছুটা দাম বেড়েছে।
মসলা কিনতে আসা নিদ্দিক আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার মসলার দাম অনেক বেশি। আমরা সাধারণ মানুষ দাম বেশির কারণে তেমন মসলা কিনতে পারছি না। প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগেই সব ধরনের মসলার দাম বাড়ে। এবারও ঠিক তাই হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কালো এলাচ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ কেজি দরে। সাদা এলাচ ছিল ২ হাজার ৮০০ টাকা। এখন দাম ৩ হাজার ৪০০ টাকা।
বিরামপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেন কবির কালবেলাকে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে নিয়মিত মসলার বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে নির্ধারিত মূল্যে মসলা বিক্রির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত মূল্য চার্ট দোকানে টানানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো অসাধু ব্যবসায়ী নির্দেশনা না মেনে চড়া দামে মসলা বিক্রি করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন