বগুড়ার শেরপুরে ৪০ মণ ওজনের অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি যখন হাঁক ছাড়ে তখন যেন বাড়ি কেঁপে ওঠে। প্রতিদিন অনেক মানুষ ষাঁড়টি দেখতে খামারে ভিড় জমাচ্ছেন। তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলার রাজা’।
এই রাজাকে দেখতে বা কিনতে চাইতে হলে যেতে হবে উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামে আজিজুল ইসলাম শাওনের খামারে।
‘বাংলার রাজা’ দেখতে অনেকটা হাতির মতো। পুরো শরীরের চামড়ায় সাদা পশমের মাঝে দুএকটা কালো পশমের ছোপ। ঘাড়, দুই চোখ ও চোয়ালজুড়ে কালো পশমের ছোপ স্বতন্ত্র দিয়েছে।
ষাঁড়টির মালিক আজিজুল হক শাওন জানান, বাড়ির গাভী থেকে ষাঁড়টির জন্ম। প্রতি বছর হাটে, টিভিতে, পত্রিকায় বড় বড় গরুর কথা শুনে এবং ছবি দেখে তার নিজের একটি ষাঁড় পালন করার ইচ্ছে জাগে। পরে পালন করতে করতে এখন ওজন ১ হাজার ৬০০ কেজি।
শাওন বলেন, আমি আমার শখ পূরণ করেছি। আমি ষাঁড়টি প্রদর্শনীতে উঠিয়েছিলাম। সেটির যে ওজন এই ওজনের ষাঁড় রাজশাহী বিভাগের মধ্যে একটিও নেই। বিভিন্ন হাটে গিয়েছি, আমি নিজ চোখে এত বড় ষাঁড় এর আগে কখনো দেখিনি। এত বড় ষাঁড় দেখে মানুষ অবাক হয়ে যাচ্ছে।
শাওনের বাবা পল্টু বলেন, বাড়িতে আগে থেকে গরু পালন করা হয়। ছেলে গরুটিকে পালন করে বড় করতে চেয়েছে। আমি তাতে সায় দিয়েছি। প্রতিদিন গরুটির পেছনে এক হাজার টাকা খরচ হয়। গরুকে ভূষি, খৈল, খড়, ধানের কুড়া, কাঁচা ঘাস খাওয়ানো হয়।
ষাঁড়ের নাম ‘বাংলার রাজা’ কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে সেরা গরু হবে, এ জন্য ‘বাংলার রাজা’ নাম রাখা হয়েছে।
কেমন দামে ষাঁড়টি বিক্রি করতে চান জানতে চাইলে পল্টু বলেন, ৩৫ লাখ টাকা আমাদের চাওয়া দাম। ক্রেতারা তো দামদর করে নেবে। ষাঁড়টি পালতে ৫ বছরে আমাদের প্রায় ২২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আপাতত খামার থেকে বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি বিক্রি না হয় তাহলে ঈদের ৫ দিন আগে ঢাকার হাটে উঠাব।
মন্তব্য করুন