নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক ছুটিতে, ভোগান্তিতে রোগীর স্বজনরা

বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি : কালবেলা
বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি : কালবেলা

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সের চালক অসুস্থতার কারণে ছুটিতে। নেই কোনো চালক, নেই কোনো বিকল্প ব্যবস্থা। ফলে চালকের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে, গ্যারেজে পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্সটি। প্রায় ২০ দিন বন্ধ থাকার কারণে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে হাসপাতালে সরকারি একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক না থাকায় প্রাইভেট মাইক্রো বেশি ভাড়া দিয়ে রোগী পরিবহন করতে হচ্ছে। আর এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা স্বজনরা।

জানা যায়, বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক গত মাসে রোগী নিয়ে বগুড়া যাওয়ার পথে মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে অসুস্থ হয়। এরপর অফিস থেকে এক মাস ছুটি নিয়ে বাসায় বিশ্রামে রয়েছেন। আর বিকল্প কোনো চালক বা ব্যবস্থা না থাকায় অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে বা অন্য কোনো গাড়িতে করে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হচ্ছে তাদের। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গরিব ও দুস্থ রোগীদের। যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’!

স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান, বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গুরুতর রোগীদের স্থানান্তর করা হয় নওগাঁ ও বগুড়া হাসপাতালে। এমনকি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয় রোগীদের। এসব রোগী পরিবহনের জন্য স্বজনদের যেতে হয় ভাড়া গাড়ির খোঁজে। এ সুযোগে প্রাইভেট গাড়িগুলোর মালিকরা সরকারি ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি অর্থ হাতিয়ে নেন। বিকল্প ব্যবস্থা থাকলে এ সমস্যা তৈরি হতো না। একজন অসুস্থ হলে অন্য জন সেবা দিতে পারত বলেও জানান তারা।

জানতে চাইলে ছুটিতে থাকা অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. সেলিম শেখ বলেন, অসুস্থতাজনিত কারণে আমি বিশ্রামে আছি। আমি অসুস্থ থাকায় চালক সংকট তৈরি হয়েছে। গত ৩২ বছর ধরে আমি একা সেবা দিচ্ছি। মানুষ তো যে কোনো সময় অসুস্থ হতে পারে। দুইজন চালক থাকলে এই সেবা বন্ধ হতো না। আর দুই তিন মাস পর আমি অবসরে যাব। তাহলে চালক সংকটের কারণে এত দামি একটি অ্যাম্বুলেন্সের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হতে পারে। আমি অবসরে যাওয়ার আগেই চালক যদি না আসে দুস্থ রোগীরা আরও ভোগান্তিতে পড়বে।

বদলগাছী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কানিস ফারহানা বলেন, আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি অ্যাম্বুলেন্স, চালকও একজন। তিনি অসুস্থতাজনিত কারণে ১ মাস বেড রেস্টে আছেন। এ বিষয়ে আমি সিভিল সার্জনকে জানিয়েছি। চালক নিয়োগ বিষয়টি আমাদের হাতে নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিজ সন্তানকে কোলে নিতে আদালত প্রাঙ্গণে বাবার কান্না

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘কাজিকি’, সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ মানুষকে

সরকারি নিয়োগ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা 

প্রাণ ফিরছে সাদাপাথরে, বাড়ছে পর্যটকের ভিড়

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ১১ দেশের

নির্বাচনে নয়, দায়িত্বে থাকতে চান বিসিবি সভাপতি বুলবুল

ভিকারুননিসা-হবিগঞ্জের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের ক্ষোভ প্রকাশ

সিলেটে কুরিয়ার ভ্যানে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬

ফেসবুকে প্রেম, বিয়ে করতে কুষ্টিয়ায় চীনা যুবক

গুণী অভিনেত্রী জাহানারা ভূঁইয়ার ইন্তেকাল

১০

ইতিহাস আমাদের বিচার করবে : মুসলিম দেশগুলোর উদ্দেশে ইরান

১১

‘ক্যানসারে আক্রান্ত তৌহিদ আফ্রিদি’

১২

ফজলুর রহমান চাইলেন ৭ দিন, বিএনপি দিল ২৪ ঘণ্টা

১৩

বাস-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪

১৪

ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা

১৫

চিকুনগুনিয়া টিকার লাইসেন্স স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

১৬

সারা দেশে একযোগে ১৮৯ বিচারককে বদলি

১৭

জেলা-উপজেলায় আনসার বাহিনীর নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু

১৮

ওজন কমাতে ৭ প্রচলিত ধারণা ভুলে গেলেই ফল আসবে আরও সহজে

১৯

হিজাববিদ্বেষী শিক্ষিকার শাস্তি চাইল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস 

২০
X